ঢাকা,শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় আগুনে যুবক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকায় নিজেরদের মুদির দোকানের ভেতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যুবক জিহাদুল ইসলাম ওরফে রায়হান চৌধুরীর (২২) মৃত্যুর ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে আদালতের কাছে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বাবা মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুছ। মুলত খুনিরা তাঁর পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে পথের কাটা সরাতে দোকানে ঘুমিয়ে থাকা ছেলেকে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে। এ ধরণের অভিযোগ তুলে জিহাদুলের বাবা মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুছ বাদি হয়ে ঘটনার দুইমাস পর গত ২৭ডিসেম্বর চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন কাকারা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া গ্রামের গোলাম কাদেরের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৬) একই এলাকার নুরুল আলমের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৪)। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ২০১৮সালের ৫ নভেম্বর রাত দশটার দিকে চকরিয়া উপজেলা কাকারা ইউনিয়নের এসএম চরপাড়ার মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে জিহাদুল ইসলাম ওরফে রায়হান চৌধুরী বাড়ির পাশে নিজেদের মুদির দোকান বন্ধ করে ব্যাটমিন্টন খেলতে যায়। খেলা শেষে রাত ১২টায় রায়হান তার দোকানে ঘুমাতে যায়।

ওইতিন রাত আড়াইটার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে কয়েকজন দূর্বৃত্ত দোকানের বাহির থেকে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় আগুনের লেলিহান শিখা দোকানের চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায় জিহাদুলের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রায়হানের মৃত দেহ উদ্ধার করে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওইদিন বিনা ময়নাতদন্তে জিহাদুলের দাফন সম্পন্ন হয়।

মামলার বাদী নিহত জিহাদুলের বাবা মোহাম্মদ ইউনুছ চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তার ছেলে জিহাদুল ইসলামকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে স্থানীয় বখাটে গিয়াস উদ্দিন ও জাহেদুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে দোকানে আগুন লাগিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেছে। মুলত খুনিরা আমার পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে পথের কাটা সরাতে দোকানে আগুন দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

যুবক জিহাদুলের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, মামলাটি আদালতের নির্দেশে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরীকে তদন্তের দায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্বভার পেয়ে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উৎঘাটনে সুচারুভাবে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্তে অভিযুক্তরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার প্রমান পেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ##

পাঠকের মতামত: