মুহাম্মদ মনজুর আলম. চকরিয়া ::
চকরিয়া-পেকুয়ায় দীর্ঘ ৪৩ বছর পর নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের স্বপ্নকে ধুলিষ্যাৎ করে আগামীতেও নৌকা নিয়ে এই আসনে বিজয়ী হবে আওয়ামীলীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বিষয়ে সুদৃষ্টি রয়েছে। তারেক জিয়ার বক্তব্যের সাথে যাদের বক্তব্য মিলে যায় তারা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীলীগ হতে পারেনা।
মঙ্গলবার বিকালে সিস্টেম চকরিয়ায় একটি হোটেলে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা ও চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সাংগঠনিক বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ার এমপি জাফর আলম একদিনে তৈরী হয়নি। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই নেতা বিএনপি জামায়াত-বিরোধী আন্দোলনে মাঠে ময়দানে সবসময় সরব ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম এমপি বলেন, দলের কিছু দুস্কৃতিকারী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। সম্প্রতি চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামীলীগ এর সম্মলনে পরাজিত সাবেক নেতা ও তিনবারের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত সাবেক নেতা মিলে ভারতের সিলংয়ে থাকা বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের আতাঁতে আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভেদ তৈরী করে নৌকাকে পরাজিত করতে মাঠে নেমেছে। চকরিয়া-পেকুয়ার সাধারণ মানুষ নৌকাকে সাদরে গ্রহণ করেছে। আগামী নির্বাচনেও এই এলাকার জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকাকে বিজয়ী করবে। আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মিড়িয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা ও দলের সুসংহত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন চেষ্টা চালাচ্ছে এসব দুস্কৃতিকারীরা।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দুই উপজেলার ২৫ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন,
এতে বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ, মাতামুহুরী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক চুট্টু, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ছৈয়দ আলম কমিশনার, সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন খালেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও শহীদ আবদুল হামিদের ছোটভাই মো. মনজুরুল কাদের।
চেয়ারম্যানদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নূরে হোছাইন আরিফ, ঢেমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঈনউদ্দিন চৌধুরী, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইউনুস চৌধুরী, লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান খম আওরঙ্গজেব বুলেট, বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান, ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন, চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন চৌধুরী, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী, পূর্ব বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না, শীলখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ তিন উপজেলার সিংহভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, তিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পদস্থ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: