মনির আহমদ, কক্সবাজার ; চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধিন চকরিয়ার বরইতলী বনবিটের সেঞ্চুরি পাড়া ও বড়ঘোনা দুইশতাধিক একর বনভুমি প্লট আকারে বিক্রী করে দিয়েছে নজরুল ও ইসমাইল বাহিনী। বিগত ২০১০-১১ সালে সৃজিত সামাজিক বনায়ন আগর বাগান, বাঁশ বাগান ও চিকন পাতা গাছের বাগান।আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে দলীয় ক্ষমতার জোরে বন কর্মকর্তাসহ সন্ত্রাসী সিণ্ডিকেট প্রকৃত সুবিধা ভোগীদের তাড়িয়ে দিয়ে প্লট আকারে বিক্রী করেছেন বনভুমি। এভাবে সামাজিক বনায়নের গাছ নিধন করে রিজার্ভ ভুমি সহ তিনশত একর বনভুমির দখল বিক্রী করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বনাঞ্চলে বসতি গড়ে তুলেছেন বরইতলীর আওয়ামিলীগ ক্যাডার নজরুল ইসলাম প্রকাশ কালা নজরুল এবং তার সহযোগী ইসমাইল। রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদলের পর গা-ঢাকা দিলেও তার বাহিনী প্রধান ইসমাইল গংদের হাত থেকে সামাজিক বনায়নের জমি উদ্ধারে বনবিভাগ সহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে বনায়নের প্রকৃত মালিকগন। তাঁদের দাবী সামাজিক বনায়নের মালিকদের মারধর করে তাড়িয়ে গত ১৫-১৬ বছর ধরে দখল করে বেচা-বিক্রী করছে। মোজাফফর আহমদ (৭১), পিতা: মৃত মোঃ সুলেমান, মাতা: মৃত্য নামিয়া খাতুন, সাং: মাইজপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, বরইতলী, চকরিয়া, কক্সবাজারগং জানান, বরইতলীর মহাজের পাড়ার উকিল আহমদের পুত্র নজরুল ইসলাম (৫০) এর নেতৃত্বে মোজাচ্ছের (৪৫), পিতা: মোহম্মদ, নুরুল আমিন (৫২), পিতাঃ শেখ আতর আলী,বশির আহম্মদ (৬০), পিতা। ইছমাইল ফকির, গিয়াস উদ্দীন (৪০), পিতা: কাশেম আলী, আমির হোছেন (৭৫), ইউছুপ আলী, ইসমাইল (৪০), পিতা: মৃত মোস্তাক আহমদ, নাছির উদ্দীন (৪৫) পিতাঃ আমির হোছেন, মোহাম্মদ বাবুল (৬৫) পিতা: মৃত আব্দু সোবাহান, ৩নং ওয়ার্ড, বরইতলী, চকরিয়া, কক্সবাজার চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধিনে বরইতলী সামাজিক বনায়ন ৩নং ওয়ার্ড, বরইতলী, চকরিয়া, কক্সবাজার। ২০১০/২০১১ সনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধিনে বরইতলী সামাজিক বনায়ন প্রত্যেক অসহায়, ভূমিহীন, কেটে খাওয়া পরিবারের মাঝে দলিল ভিত্তিক বন্টন করেন। পরবর্তী আওয়ামীগ সরকারের গুন্ডা বাহিনী প্রধান নজরুর বাহীনি ক্ষমতার বন্টনকৃত বনায়ন কেড়ে নেয়, পরবর্তী এই বিষয়ে এলাকার প্রতিনিধির কাছে জানাইলে আমাদের কে নাজেহাল করা হয়। বর্তমানে বিবাদীগণ আইনকে অমান্য করে কেড়ে নেওয়া সামাজিক বনায়নে মাদক, অস্ত্রবাজ, জুয়ার আসর গড়ে তুলেছে। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও বনকর্মকর্তার সাথে আঁতাত থাকায় বন উদ্ধার করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে না বনবিভাগ।
চুনতি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে গালিগালাজ করেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থল কোথায় লোকেশন জেনে নিচ্ছি। সব ঠিকঠাক করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: