এইচ এম রুহুল কাদের : চকরিয়া পৌর সদরে সড়ক বিভাগের অর্ধশত কোটি টাকার জমি দখল করে বহুতল মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র। মাতামুহুরী ব্রিজের পশ্চিম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে^ সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাংলোর দেয়াল সংলগ্ন বহুতল ভবন নির্মাণ করছে জনৈক মোহাম্মদ এহছান( প্রকাশ দুবাই এহছান) ও সোলতান আহমদ সিরাজি গং।
চকরিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৭-৫৮ সালে মাতামূহুরী ব্রিজের এপ্রোচ, স্টেক-ইয়ার্ড ও ডাক বাংলো ইত্যাদির জন্য অন্যান্য জমির সাথে চিরিংগা ১.৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন সড়ক বিভাগ। উক্ত জমির মালিক হিসাবে স্থানীয় আমিনুল ইসলাম ও বদর মিয়া গং অধিগ্রহণের সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নেয়।
একটি ভূমিদস্যু চক্র উপরোক্ত কথিত বিএস মালিক গণের নিকট হইতে পরস্পর যোগসাজশে মোঃ এহছান (প্রকাশ দুবাই এহছান) এবং সোলতান আহমদ সিরাজী বিভিন্ন জমি জালিয়তি দলিল সৃষ্টি করে জমির কিছু অংশ দখলে নেয়।
দুবাই এহছান ও সোলতান সিরাজী এই চক্রটি বর্তমান মতামূহুরী ব্রিজ এর ছয় লাইন প্রকল্পের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হলে অধিগ্রহনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে অবৈধ ঘুস দিয়ে বসে করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিজস্ব জমি ৯ শতক জমি পুনরায় অধিগ্রহণের আওতায় এনে দুবাই এহেছান ৪,৯১,৫৫,৪৬৮/-টাকা ও সোলতান আহমদ সিরাজীর মাধ্যমে ৩,৬২,৭৮,৪৮৯/-টাকা সর্বমোট ৮,৫৪,৩৩,৯৫৭/-টাকা লোপাট করার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করে। জমজম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম কবির মহামান্য হাইকোর্টে ৮৮৭৮/১৯ নং রিট মামলা দায়ের করেন।
১.৬০ একর জমির সব ধরনের মালিকানা সড়ক ও জনপথ বিভাগের হওয়া সত্ত্বেও দিন-দুপুরে সড়ক বিভাগের বাংলো সংলগ্ন জমিতে দুবাই এহছান গং কিভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে তা রহস্যজনক।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জমজম হাসপাতালের এমডি মোঃ গোলাম কবির জানান, সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী অফিসে অভিযোগ করার পরেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে বহুতল বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ কাজ কিভাবে অব্যহত থাকে আমার বোধগম্য নয়।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহে আরেফিন কাছে চকরিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কার্যলয়ের পুর্বে পাশে মহাসড়ক লাগোয়া ৫অর্ধশত কোটি টাকার জায়গায় দখল করে বহুতল নির্মানের বিষয়য়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
পাঠকের মতামত: