মনির আহমদ: চকরিয়া অফিস ::
চকরিয়ায় পরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকা সত্ত্বেও টাকা নিয়ে ভূঁয়া রিপোর্ট প্রদান ও অসদাচারনের অভিযোগে বৈশাখী ল্যাব ও হাসপাতালের টেকনোজিষ্ট রবিউল ও পরিচালক মহসিন এর বিরোদ্ধে বুধবার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদালতে মামলা করেছেন
প্রতারনার স্বীকার ডুলাহাজারার সত্তরোর্ধ বাসিন্ধা মাহবুবুর রহমান নুরী। বাদীর উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মামলার সংবাদ প্রকাশকারী সাংবাদিকের বিরোদ্ধে অপপ্রচার সহ হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দিন ধরে অসংখ্য সন্ত্রাসীর মাধ্যমে পেজবুক আইডিতে নানা রকম কুরুচি পুর্ন মন্তব্য করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তারপর ও তাদের দালালের আরেক মোবাইল থেকে বাদীকে ও হুমকি দিয়েছে। এদিকে পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বৈশাখীর টেকনোলজিষ্ট রবিউল।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুুবুনিয়ার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান নুরী জানান, “কিডনীর সমস্যাজনিত কারনে চকরিয়ার হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন বৈশাখী ল্যাব থেকে ক্রিয়েটিনি পরীক্ষার জন্য রক্ত দেন। ৩৮০ টাকা নিয়ে তিন ঘন্টা পর রিপোর্ট দেন ল্যাব কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট দেয়ার সময় টেকনোলজিষ্ট রবিউল রক্তে কোন সমস্যা নাই বলে( হরষ) রিপোর্ট দেন। টেকনোলজিষ্ট রবিউলেরর কথায় আশ্বস্থ হয়ে বাড়ীতে চলে গেলে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে তিনদিন পর পুনরায় চকরিয়া এসে হাসপাতাল সড়কের সেভরন নামের অপর একটি ল্যাবে গিয়ে ২য় বার ক্রিয়েটিনি(ঈৎবধঃরহরহব) পরীক্ষার জন্য রক্ত দেনব বাদী। এখানে রক্ত পরীক্ষায় মারাত্মক সমস্যা ধরা পড়ে। বাদী মাহবুবুল আলম নুরী জানান, সেভরনের রিপোর্ট দেখে আমি অবাক হয়ে পড়ি এবং বৈশাখী ল্যাবের পরীক্ষা সন্দেজনকভাবে মিথ্যা বলে বুঝতে পারি।” এ ধরনের রিপোর্টের ব্যপারে বৈশাখীর টেকনোলজিষ্ট রবিউলের কাছে জানতে চাইলে রবিউল জানান,” ক্রিয়েটিনি পরীক্ষার যন্ত্রপাতি আমাদের ল্যাব এ নাই, তাই এটা আমরা করাই না। আমাদের এক কর্মচারী বাহিরের কোন এক ল্যাব থেকে পরীক্ষা করে এনেছে, আমি বৈশাখীর প্যাড কাগজে দস্তখত দিয়ে দিয়েছি মাত্র।”
অপর দিকে একই কথা স্বীকার করেছেন, বৈশাখী ল্যাব এর পরিচালক মহসিন। তিনি ও তার ল্যাবে এ পরীক্ষা হয়না বলে জানিয়ে বলেন, বাহিরের ল্যাব থেকে পরীক্ষাটি করে আনিয়ে বৈশাখীর প্যাডে লিখে সীল দস্তখত দিয়ে বিদায় করেছেন। মামলার বাদী নুরীর দাবী, উপযুক্ত সরঞ্জাম ও যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বে ও টাকা নিয়ে আমাকে মিথ্যা একটি রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। আমাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে যা হত্যা চেষ্টার অপরাধ করেছে। এমন কি ঘটনা জানতে চাইলে অসৌজন্যমুলক আচরন করেছে তাই আমি বাদ্য হয়ে মামলা করেছি, এবঙ উপযুক্ত শাস্তি চাই।
প্রতারনার স্বীকার ডুলাহাজারার সত্তরোর্ধ বাসিন্ধা মাহবুবুর রহমান নুরী। বাদীর উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মামলার সংবাদ প্রকাশকারী সাংবাদিকের বিরোদ্ধে অপপ্রচার সহ হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দিন ধরে অসংখ্য সন্ত্রাসীর মাধ্যমে পেজবুক আইডিতে নানা রকম কুরুচি পুর্ন মন্তব্য করে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।তারপর ও তাদের দালালের আরেক মোবাইল থেকে বাদীকেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের হুমকীতে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বাদী ও সাংবাদিক।
চকরিয়া সরকারী হাসপাতাল সুত্র জানায়, বৈশাখী ল্যাব নামের কোন লাইসেন্স সিভিলসার্জন অফিসের তালিকায় নাই। রবিউল নামের কোন টেকনোলজিষ্ট ও নাই।
কক্সবাজারের জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুস সালাম জানান, বৈশাখী ল্যাবের নামের বিরোদ্ধে মামলার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অভিযোগের কপি হাতে পেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে ও জানান সিভিল সার্জন।
উল্লেখ্য মামলার কপি দুর্নীতি দমন, ও ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশ( টিআইবি) এবং দুদকের কাছে ও পাটিয়ে আইনগত সহযোগীতা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান নুরী।
পাঠকের মতামত: