নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
ইভিএম পদ্ধতির ভোট চ্যালেঞ্জ করে কক্সবাজারে প্রথম মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এতে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার আবুল হাসেমের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।
রবিবার (২২ অক্টোবর) নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সুশান্ত প্রসাদ চাকমা এই রায় প্রদান করেন।
২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পুণঃ ভোট গণনা ও ঘোষিত ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলা করেন পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল কবির। যার নির্বাচনী মামলা নং-০৯/২০২২।
বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা বারের সাবেক সভাপতি আজম মইন উদ্দিন। মেম্বার আবুল হাসেমের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মুহাম্মদ আখতার উদ্দীন হেলালী ও এডভোকেট খালেদ আনোয়ার।
এডভোকেট মুহাম্মদ আখতার উদ্দীন হেলালী বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে কক্সবাজার আদালতে দায়েরকৃত প্রথম মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। এতে চ্যালেঞ্জকারীর আবেদন খারিজ ও ইভিএমের গননা সঠিক বলে রায় দিয়েছেন বিচারক।
মামলার প্রেক্ষাপট জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬২৭ ভোট পেয়ে ৬ নং ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচিত হন আবুল হাসেম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল কবির ৬১৭ ভোট পান। নির্বাচনকর্তারা যথারীতি ফলাফল ঘোষণা করেন।
পরে গেজেট প্রকাশ করে কমিশন। যথা নিয়মে শপথ গ্রহণ করেন আবুল হাসেম। তিনি পরিষদের কার্যক্রমও অব্যাহত রাখেন। এরই মাঝে ভোট গননায় জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি মামলা করেন পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল কবির। যার নির্বাচনী মামলা নং-০৯/২০২২।
আবুল হাসেম তিনবারের নির্বাচিত মেম্বার। তিনি ফাঁসিয়াখালী রাজারবিল এলাকার মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে। এলাকায় তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়, নির্লোভ ও নিরহংকার ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।
ন্যায় বিচার পাওয়ায় বিচারক, আইনজীবী, জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মেম্বার আবুল হাসেম।
পাঠকের মতামত: