নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে সম্ভাবনার আগামী নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুইদিন ব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান মেলা ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়ার্ড ২০১৯ আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। মেলায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, ডুলাহাজারা কলেজের অধ্যাপক সেন্টু কুমার দাশ, চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আখের, চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মুদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতা জাফর আলম সিকদার, চকরিয়া ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সভাপতি সজরুর নাহার বুলু, প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করতে উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষাখাতে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বর্তমান সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতের অগ্রউন্নয়নের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
সরকার প্রধানের সদিচ্ছার কারনে আজ নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ নিশ্চিতে সরকার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব ধরণের কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। সেইলক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই পাচ্ছে। লেখাপড়া করতে সব ধরণের উপবৃত্তি সুবিধা পাচ্ছে। মেধাবীদের সরকারি চাকুরী নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল প্রকল্পসহ নানা ধরণের প্রনোদনা প্রকল্প। যাতে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা নিয়ে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে। নিজেকে আগামীর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরী করতে পারে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী আরও বলেন, লেখাপড়ার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হিসেবে তৈরী করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বেগবান করতে হবে। কারণ আজকের নতুন প্রজন্ম হবে আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। তাই সেইভাবে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের তৈরী করতে সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে কোন ভাবে বিপদগামী না হয় সেদিকে অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীকে সজাগ ভুমিকা পালন করতে হবে। #
পাঠকের মতামত: