ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষিত

চকরিয়া জমজম হাসপাতালে ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ডেঙ্গু সহ বিভিণ্ন পরীক্ষায় রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চকরিয়ার জমজম হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত ৭ নভেম্বরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এমপির নির্দেশনায় বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষার মূল্য ৩০০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হলেও সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষায় রোগীদের কাছ থেকে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে চকরিয়ার জমজম হাসপাতাল। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষায় গলাকাটা মূল্য নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত এ প্রাইভেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা এনামুল হক চৌধুরী বলেন, শারীরিক অসুস্থতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় চকরিয়া জমজম হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য গেলে হাসপাতালের রিসিপশনে এর ফি এক হাজার পঞ্চাশ টাকা উল্লেখ করে ডিসকাউন্ট বাদ দিয়ে তার কাছ থেকে ৭৮০ আশি টাকা নিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে চকরিয়ার অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরও কয়েকটি পরীক্ষা করতে গেলে সেখানে জানতে পারেন ডেঙ্গু পরীক্ষার সরকারি নতুন নির্ধারিত ফি ৩০০ টাকা। সরকার নির্ধারিত টাকার পরিবর্তে ৭৮০ টাকা হাতিয়ে নিলো জমজম হাসপাতাল!

এ বিষয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা বা সিভিল সার্জন অফিসের কোনো চিঠি পাইনি, তাই পূর্বের তালিকা অনুযায়ী পরীক্ষার ফি নেওয়া হচ্ছে।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন দত্ত বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা যথাযথভাবে দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। কেউ যদি এটি অমান্য করে, প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও যথাযথ মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো ক্লিনিক, হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্দেশনা পায়নি অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা আইনত দণ্ডনীয়। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন বলেও জানান।

পাঠকের মতামত: