ঢাকা,রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়া সুন্দরবনে ঢাবি চকোরী’র ঈদ পুনর্মিলনী ও বৃক্ষরোপণ

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :: দেশে নিত্যদিন বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ধংস করা হচ্ছে সংরক্ষিত বন ও পাহাড়, কাটা হচ্ছে গাছ, অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। এমনই এক পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলছে বিবেকবান বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের। ঠিক তখনই ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়নমূলক সংগঠন ‘ঢাবির চকোরী’র উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হাতে নেন চকরিয়া সুন্দরবন এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। একই সাথে আয়োজন করা হয় ‘ঢাবির চকোরী’র ঈদ পুনর্মিলনী।

শনিবার সকালে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন্থ নদীর তীরবর্তী সুন্দরবন এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব চকরিয়া সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান কমিটির বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল ও সদস্য’রা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব চকরিয়া (ঢাবির চকোরী’র) সভাপতি শেফায়েত হোসেন রিপন বলেন, আমাদের প্রকৃতিতে দিনদিন জনসংখ্যার হার বেড়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে যাচ্ছে, এ ভাবে চলতে থাকলে আমাদের এই পৃথিবী বসবাসের যোগ্যতা হারাবে। তাই আমাদের বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে চকরিয়া সুন্দরবনের প্রকৃতিকে পুনরুদ্ধার করার প্রয়াস ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে চকরিয়া থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষর্থীদের সংগঠন ঢাবি’র চকোরী উদ্যোগে সুন্দরবন এলাকায় নদীর তীরবর্তী মোহনায় বিপুল পরিমাণ গেওয়া গাছের চারা রোপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মানুষ রূপী কিছু দুর্বৃত্তরা প্যারাবন নিধন ও নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ধ্বংস করে চিংড়ি চাষ করায় প্রাথমিক ভাবে স্বল্প সময়ের জন্য এলাকার মানুষগুলো অর্থবান হলেও প্রকৃতপক্ষে বৃহত্তর জনগোষ্টি পড়ছে ক্ষতির কবলে। চিংড়ি রপ্তানি করে মানুষ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হলেও চকরিয়া সুন্দরবন বিলুপ্ত হওয়ার পর দেশের কী যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখছে না। এখনো উপকুলীয় এলাকার বেড়ি বাঁধগুলো হুমকির সম্মুখীন, আতঙ্কিত বেড়িবাঁধ লাগোয়া মানুষ।

তিনি বলেন, চকরিয়ার সুন্দরবনের চিত্র ফিরিয়ে আনতে হলে প্রয়োজন সকলের সমন্বিত উদ্যোগ। আজ গাছ লাগিয়ে যেমনটি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষর্থীদের সংগঠন ঢাবি’র চকোরী একঝাঁক তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। প্রাকৃতিকভাবে সৃজিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল নির্বিচারে যেভাবে নিধন করা হয়েছে তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে খালী জায়গায় সৃজন করতে হবে প্যারাবন। রক্ষা করতে হবে আগামি প্রজন্মকে। ঢাবি’র চকোরী সংগঠনের সকল শিক্ষার্থীদের সুন্দরবন এলাকায় গাছ রোপন করায় এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: