এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থাপিত করোনা সংক্রমণের অস্থায়ী আইশোলেশন ইউনিটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। মঙ্গলবার ২৮ এপ্রিল তিনি উপজেলা হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আইসোলেশন ইউনিট পরির্দশন করেন।
এরপর তিনি উপজেলা হাসপাতালের বর্তমান ভবন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তিনি পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে গরীব ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শাহবাজের সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী। ওইসময় হাসপাতালের সকল বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসের ১০ তারিখ কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কমিটির সভায় ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ৫০ শয্যা করে দুইটি হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন ইউনিট ঘোষনা করেন।
তদমধ্যে একটি ইউনিট চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের নতুন ভবনে ও অপরটি রামু উপজেলা হাসপাতালে একটি ভবনকে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারণ হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ। দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে ১০০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। সেইজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সাপোর্ট।’#
পাঠকের মতামত: