ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া মহাসড়কের মালুমঘাটে দুর্ঘটনায় আহত আরো ১ ভাইয়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা মালুমঘাট হাসিনা পাড়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরতর আহত সরণ শীল (৩০) নামে আরো একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। সরণ শীল ঘটনাস্থলে আগে নিহত ৪ জনের ভাই। এ নিয়ে উক্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ৫ জন।

ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সগীর শাহ কাটা গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র শীলের ৭ ছেলে ২ মেয়ে উল্লেখিত সময়ে পারিবারিক পূজো দিয়ে মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের সন্নিকটে হাসিনা পাড়াস্থ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় কক্সবাজারমুখী দ্রুতগামী একটি পিকআপ ভ্যান তাদের চাপা দেয়। সেখান থেকে গুরতর আহত অবস্থায় ৪ সহোদর যথাক্রমে অনুপম শীল (৪৭), নিরুপম শীল (৪৫), দীপক শীল (৪০) এবং চম্পক শীল (৩০) কে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে অপর সহোদর সরণ শীল (২৮) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অপর ২ জন রক্তিম শীল (৩৫), প্লাবন শীল (২৪) ও তাদের হীরা শীল (২৭) কে মেমোরিয়াল খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে নিহত ৪ সহোদরকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সৎকার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের পরিবারকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে সাধ্যমতো সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান চকরিয়ার ইউএনও জেপি দেওয়ান। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সগীরশাহ কাটা গ্রামে সুরেশ চন্দ্র শীল এর পরিবারে নিহতদের লাশ নেওয়া হলে স্বজনদের গগনবিদারী আত্মনাদে আকাশ বাতাস কেঁপে ওঠে।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, পিকআপটি জব্দ করার এবং ঘাতক চালককে আটক করার চেষ্টা চলছে।

ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর বলেন, গত ১০ দিন আগে নিহত ও আহতদের বাবা সরোজ চন্দ্র শীল মৃত্যু বরণ করেন।মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারী ছিলো তাদের বাবা সরোজ চন্দ্র শীলের কোড়কর্ম এবং বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারী শ্রদ্ধানুষ্ঠান।

সনাতন ধর্মীয় রীতিনুযায়ী মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫টার দিকে তারা সাত ভাই ও এক বোন কোড়কর্ম করতে হাসিনা পাড়াস্থ রাস্তার মাথায় যায়। ওখানে তারা তাদের কোড়কর্ম অনুষ্ঠান শেষ করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এসময় কক্সবাজারমুখী একটি দ্রুতগামী পিকআপ (মিনি ট্রাক) এসে তাদেরকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

সুরেশ চন্দ্র শীল এর পরিবার কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল এলাকার আদি বাসিন্দা।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় যাত্রীবাহি বাস, লবণ বোঝাই ট্রাক ও পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাসের তিনজন যাত্রী নিহত এবং ২০-২২ জন যাত্রী আহত হয়। এনিয়ে গত ৪৮ ঘন্টায় এ সড়কে দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যূ হলো।

পাঠকের মতামত: