ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া :: করোনাকালেও চকরিয়ার পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচাবিক্রি। উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার ৬ লক্ষাধিক মানুষের জন্য কোরবানির পশুর হাট রয়েছে ১২টি। এর মধ্যে স্থায়ী হাট ৯টি এবং বাকি তিনটি অস্থায়ী।
সরেজমিনে বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন উপজেলার কোন না কোন ইউনিয়নে বসছে কোরবানির পশুর হাট।
পশু ক্রয়ের জন্য সেখানে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষরা। তবে করোনার কারণে প্রশাসন যেসব স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করেছে, তা অনেকেই মানছেন না। কিছু সংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানার অংশ হিসেবে মুখে মাস্ক পরলেও অন্যদের যেন তা নিয়ে চিন্তা নেই। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়টি তাই মুখে-মুখেই। তবে করোনায় পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এছাড়াও জাল টাকার লেনদেন রোধে প্রতিটি বাজারে জালনোট শনাক্তকরণ যন্ত্র বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান।
এদিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সচেতন বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ইউনিয়নের ভেণ্ডিবাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশে পশুর হাট বসানো হয়েছে। এতে মহাসড়কের ওই স্থানে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
চকরিয়ার ঐতিহাসিক ইলিশিয়ার পশুর হাটের ইজারাদার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা বলেন, করোনাকালীন যাতে পশুর হাটে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকে, সেজন্য একাধিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। হ্যান্ডমাইক নিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে সার্বক্ষণিক। যাতে হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা সবসময় মুখে মাস্ক পরিহিত থাকে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি না মানার হিড়িক পরিলক্ষিত হচ্ছে।
চকরিয়া ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, করোনার বিস্তার রোধে ১৮টি শর্ত দিয়েই পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেসব শর্ত যাতে মেনে চলে সেজন্য আমি নিজে এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে পৃথক টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।
ইউএনও জানান, স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে জরিমানাসহ সতর্ক করা হচ্ছে। অপরদিকে মহাসড়কের পাশে যাতে কোনো ধরনের পশুর হাট বসতে না পারে, সেজন্য পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন তিনি।
পাঠকের মতামত: