নিউজ ডেস্ক :: কক্সবাজার জেলার প্রথম শ্রেনীর চকরিয়া পৌরসভা এখন দুর্ভোগের শহরে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের আড়ালে নানা অনিয়ম ও অপরিকল্পিত কর্মযজ্ঞে পৌরবাসীর জীবন অনেকটা বিপন্ন। যত্র-তত্র ও অপরিকল্পিত খুড়াখুড়িতে প্রায় সড়কের অবস্থা এখন বেহাত। বিশেষ করে শহরের প্রানকেন্দ্রে সড়কগুলোতে এ অবস্থা দৃশ্যমান।
সরজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল সড়কের পশ্চিমপাশের্^ আভ্যন্তরিণ সড়ক হিন্দুপাড়া থেকে খোদারকুম পর্যন্ত সড়কটি খোঁড়া-খুড়িতে বিপর্যস্ত। সড়কটিতে একদিকে সড়ক উন্নয়নের কাজ, অন্যদিকে ড্রেইন নির্মাণের দুটো কাজই বাস্তাবায়ন করতে নিয়মই মানা হচ্ছে না বললে চলে। ভরা বর্ষায় বৃষ্টিভেজা অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালেই অপরিকল্পিত ও যেন-তেনভাবে চালানো হচ্ছে কাজ। কাজের যেমন নিয়ম মানা হচ্ছে না তেমনি দুটো কাজই একসাথে শুরু করায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে ।
পাশাপাশি সড়কটির নিকটে নির্মিত আট্টালিকাগুলো হুমকির মুখে পড়েছে । নি¤œমাত্রার ভুমিকম্প অনুভুত হলেও বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন বিজ্ঞমহল।
অভিজ্ঞমহলের মতে, সড়কের কাজ করার আগে ড্রেইন নির্মানের কাজ সম্পন্ন করলে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হতো না। এখন এক সাথে দুটো কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করায় জগাখিচুরিতে পরিণত হয়েছে । সব চেয়ে দেখার বিষয় হলো জনদূর্ভোগ।
একইভাবে পৌরশহরের গার্লস হাইস্কুল সড়কের অবস্থাও ত্রাহি। খুড়াখুড়ির কারণে যান চলাচল যেমন কঠিন তেমনি পায়ে হেটে চলাচল করাও কষ্টকর। চলতি মাসের টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাস্তাটির অবস্থা দেখলে মনে হয় যেন পৌরশহর নয়, একটি অজপাড়া গাঁ।
অন্যদিকে চকরিয়া পাইলট হাইস্কুল সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। চকরিয়া পৌরসভা কতৃপক্ষ ড্রেইন নির্মাণ করতে গিয়ে খোঁড়াখুড়ির কারণে সড়কটি অবস্থা এখন বেহাল। যান চলাচল করা যেমন কঠিন তেমনি স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ লোকজনের চলাচল বিপদজনক।
পৌরসভার পক্ষ থেকে কিছুটা বালি দিয়ে তৈরি হওয়া গর্ত ভরাট করার চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বর্তমানে সড়কটি পূর্বের ন্যায় ফিরিয়ে আনতে দুটি প্রতিষ্ঠানই রসি টানাটানিতে রয়েছে বলে জানা গেছে ।
অন্যদিকে বেতুয়া বাজর সড়কের চকরিয়া পৌরশহরের বটতলী তিন রাস্তার মোড পুকুরে পরিণত হয়েছে ।
জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই সড়কটির কিছ ু অংশ পৌরসভায় অন্তভুক্ত করার আবেদন করে, কিন্তু সড়ত ও জনপথ বিভাগ কার্যত আমলে নেয়নি। একইভাবে সরকারি পাইলট হাইস্কুল সড়কের মাথা থেকে গ্রামার স্কুল পর্যন্ত সড়কটি হ-য-ব-র-ল অবস্থা। বহুলতল ভবনের পাশ ঘেষেই ড্রেইন নির্মানের জন্য মাটি খনন করায় ভবনগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় পড়েছে বলে মনে করচেন সচেতন মহল। পাশাপাশি সাধারণ দুর্ভোগই বেড়েছে ওই সড়কে।
এ ব্যাপারে আগামীর পদক্ষেপ কী হবে তা জানতে চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরীর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পাঠকের মতামত: