ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌরসদরের ফুটপাত দখল করে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিক্রি, নিরব প্রশাসন

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়া পৌরশহরজুড়ে সীমাহীন যানজট, তার উপর ফুটপাত দখল করে ভাসমান দোকান। সবমিলিয়ে জনসাধারণের দুর্ভোগের অন্ত নেই। সম্প্রতি ফুটপাত দখল করে রোহিঙ্গাদের ত্রাণসামগ্রী বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী।এদিকে প্রশাসন  রহস্যজনক কারণে এ সব দেখেও না ভ্যান করে আছে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এসব রোহিংগা ত্রাণ সামগ্রীর আড়ালে বিক্রি করা হচ্ছে ভেজাল, নকল ও অস্বাস্থ্যকর পন্য। রোহিঙ্গাদের এসব সামগ্রী কম দামে কিনতে পাওয়ার লোভে সাধারণ লোকজন হুবহু নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানবতার সংগঠন ও বিত্তবান ব্যক্তি মানবিক বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের জন্যে ত্রাণ নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছে। আর সেই ত্রাণসামগ্রী দেশীয় কিছু দালাল রোহিঙ্গাদের ধোকা দিয়ে ১শ টাকার জিনিস ২০টাকা, ৫শ টাকার পণ্য ১শ টাকায় ক্রয় বিভিন্ন বাজারে পাচার করে চড়া দামে বিক্রি করছে।

অপরদিকে এসব দেশী-বিদেশী পণ্যের আড়ালে নকল পন্য বিক্রি করে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ লোকজন। আব্দুল হামিদ নামের এক বৃদ্ধ ক্ষোভ প্রকাশ করে জনায়, কিছুদিন আগে ইউনিলিভার কোম্পানির একটি ৩৭৫ টাকা দামের এক বোতল শ্যাম্পু ক্রয় করে বাড়িতে গিয়ে দেখেন সব পানি। মাথায় দিয়ে কোনপ্রকার ফেনার নিশানাও নেই।বিশেষ করে কসমেটিক্স পন্যে বেশী ভেজাল রয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান। ভেজাল ও নিম্নমানের পন্যের মধ্যে রয়েছে ক্লিয়ার শ্যাম্পু, সানসিল্ক শ্যাম্পু, বিদেশী ব্রান্ডের শ্যাম্পু, প্যারাস্যুট নারকেল তৈল, কুমারিকা তৈল, ফেয়ার এন্ড লাভলীসহ বিািভন্ন প্রসাধনী সামগ্রী উল্লেখযোগ্য।

বদরখালীর আবুল ফজল নামের যুবক বলেন, রোহিঙ্গাদের পণ্য বিক্রির দোকান থেকে একটি চার্জ লাইট কিনে বাড়ি নিয়ে দেখা গেছে ব্যাটারী নষ্ট। সরেজমিনে দেখা গেছে চকরিয়া পৌরশহর ছাড়াও উপজেলার ডুলাহাজারা, খুটাখালী, মালুমঘাট, বদরখালী, ইলিশিয়া, বরইতলী, হারবাংসহ বিভিন্ন হাটবাজারে ফুটপাত দখল করে ভাসমান দোকানগুলো লক্ষ্য করা গেছে।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকের কর্মকর্তা ডাঃ সোভন দত্ত বলেন, ফুটপাতে বিক্রি করা সব পন্যসামগ্রী স্বাস্থ্য সম্মত নয়। রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত পণ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। সচেতন মহলের দাবী যত্রতত্র পরিবেশে ফুটপাত দখল করা এসব ভাসমান দোকন উচ্ছেদ করা জরুরী হয়ে পড়ছে। এর জন্যে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: