চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে এবার আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেন দুই সাংবাদিক নেতা। তাঁরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক ও চকরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ দৈনিক চকোরী সম্পাদক একেএম গিয়াস উদ্দিন। অপরজন হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আওয়ামী ফাউন্ডেশন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক এসএম সিরাজুল হক। ইতোমধ্যে তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত, সামাজিক জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরে লেখনীর মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন।
চকরিয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক নেতা একেএম গিয়াস উদ্দিন বলেন, ১৯৮০ সালে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক পদে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের সুচনা ঘটে। সেই থেকে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এরপর ১৯৮১ সালে তিনি অধ্যায়নত অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক, ৮৩ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৮৪ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মহানগরে সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি কক্সবাজার জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৯১-৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০১ থেকে ২০০৬সাল পর্যন্ত তিনি চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ২০০৬ থেকে ২০১১সাল পর্যন্ত আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি চকরিয়া থেকে প্রকাশিত তার সম্পাদনায় দৈনিক চকোরী নামের একটি পত্রিকার সম্পাদক একই সাথে চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। তার বাড়ি পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বিনামারা গ্রামে।
অপরদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক এসএম সিরাজুল হক চকরিয়া জনপদে প্রায় ৪৯বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬দফার সমর্থনে পুর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের যোগদান করে আনুষ্টানিকভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। এরপর ৬৮ সালে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৬৯-৭০ সালে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে তিনি জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় ব্যাপক ভুমিকা পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ৭৭সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে তিনি উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ৯০ সালে তার নেতৃত্বে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি গঠিত হয়। ২০০১ সালে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ২০০৬ সালে উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। সাংবাদিক এসএম সিরাজুল হকের বাড়ি পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কোচপাড়া গ্রামে। মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই সাংবাদিক নেতার অভিমত, দলীয় মনোনয়ন পেলে তাঁরা অবশ্যই বিজয়ী হবেন। এই জন্য তাঁরা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সঠিক মুল্যায়নের প্রত্যাশা করছেন। #
পাঠকের মতামত: