ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়ায় ‘ধানের শীষে’র গণজোয়ারে হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য আ.লীগ -হাসিনা আহমদ

ভয়-ভীতিকে দূরে রেখে ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিতে হবে 

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের ‘ধানের শীষে’র প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ বলেছেন, ভয় পেলে চলবে না। ৩০ ডিসেম্বর ভয়কে দূরে রেখে জনগণকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে হবে।

তিনি বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ চকরিয়া-পেকুয়ার উন্নয়ন করেছিলেন। সেই উন্নয়ন কর্মকান্ডের শেষ না হওয়া কাজ শেষ করতেই আবারও ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে।

তাঁর মতে, চকরিয়া-পেকুয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদের হাতে করা উন্নয়ন কাজের পর বিগত ১০ বছরে সেই উন্নয়ন ধ্বংস করা হয়েছে। নতুন কোন উন্নয়ন এই এলাকায় হয়নি।

তিনি বুধবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার তৃতীয় দিনে গণসংযোগ ও পথসভায় এসব কথা বলেন।

হাসিনা আহমদ বলেন, আপনাদের প্রিয়নেতা সালাহউদ্দিন আহমদকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে আগামি ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি মন্তব্য করেন, চকরিয়া-পেকুয়াসহ সারাদেশে ধানের শীষের জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তাইতো তারা বিএনপি নেতাদের উপর হামলার মতো অপকর্ম করছেন।

বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত এই প্রার্থী বুধবার পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়া কাটা, হাজীর বাজার, বনকানন, খুইন্যাবিটা, সরকারের মুড়া, বটতলী শফিকিয়া মাদরাসা, বটতলী প্রাইমারী স্কুল ষ্টেশন, জুম পাড়া, টইটং বাজার ও নাপিতখালী এলাকায় গণসংযোগ করেন।

ওই সময় টইটং বাজার, ধনিয়াকাটা বটতলা বাজার, হাজীর বাজার, বনকানন ও নুরানীগঞ্জ মাঠে রাজাখালী আরবশাহ বাজার সবুজ বাজারে পৃথক পথসভায়ও বক্তব্য রাখেন তিনি।

পথসভাগুলোতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি জেড এম মুসলেহ উদ্দিন।

এসময় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রনি, টইটং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাষ্টার জয়নাল আবেদীন, টইটং ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিডিআর আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, যুবদলের সভাপতি আজমগীর, রাজাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাস্টার আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর বাবু।

এছাড়া উপজেলা নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াছমিন ঝিনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরান জাদিদ মুকুট, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আহছান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল আজিম, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোছাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম জাহেদসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী।

পাঠকের মতামত: