নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্টিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতার লক্ষ্যে আওয়ামীলীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ৭জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। বুধবার বিকালে চকরিয়াস্থ সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ৫জন কক্সবাজারের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে একজন মনোনয়ন ফরম জমা দেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে বিএনপি প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমেদ মনোনয়ন ফরম জমা দেন। ওই ফরমের ছায়াকপি একই দিন বিকালে চকরিয়া ও বুধবার দুপুওে পেকুয়ার সহকারী রিটার্নিং কার্যালয়ে জমা করেন।
বিএনপি’র প্রার্থী ছাড়া মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া প্রার্থীরা হলেন- চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম, জাতীয় পার্টিও কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বর্তমান সাংসদ মো.ইলিয়াছ, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য হাজী আবু মো.বশিরুল আলম, এনডিএ’র ফয়সল চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউল আলম ও তানিয়া আফরিন। মনোনয়ন ফরম জমাদানকালে একমাত্র জাপার মো.ইলিয়াছ ছাড়া অন্য প্রার্থীরা সমর্থকদের নিয়ে নিজেদের ফরম জমা দেন।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়,উপজেলা পরিষদের নিকটবর্তী মাঠে দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থক ও ভক্তদের দোয়া নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ প্রার্থী জাফর আলম বিকাল সাড়ে ৪টায় চকরিয়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
এসময় সাথে ছিলেন-চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল,কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নেতা নুরুল আবছার, সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ চৌধুরী, কোণাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারসহ প্রমুখ।
মনোনয়ন ফরম জমা করার পর এ প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে জাফর আলম বলেন,আমি শুধু আওয়ামীলীগের নই মহাজোটর প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবো। দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ বিভিন্ন পেশাজীবি ও আপামর জনতার সমর্থন নিয়ে দীর্ঘ ৪৩ বছর পর চকরিয়া-পেকুয়া আসনে নৌকার বিজয় ঘটিয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।
ওয়ার্কার্স পার্টির হাজী বশিরুল আলম বলেন, আমার দল আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত। মনোনয়ন ফরম জমা দিলেও জোটগতভাবে যিনিই প্রার্থী হোননা কেন তার পক্ষে কাজ করবো।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউল আলম ও তানিয়া আফরিন বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। দুই উপজেলার মোট ভোটারের ১ শতাংশ অর্থাৎ ৩ হাজার ৬জন ভোটারের প্রয়োজনীয় কাগজ দেয়ার নিয়ম থাকলেও ৪ হাজার ভোটারের সম্মতি কাগজ জমা দিয়েছি।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ মো.ইলিয়াছ বলেন, মহাজোট গতভাবে নির্বাচন না হলে আমি নির্বাচন করবো। আর যদি মহাজোটগত নির্বাচন হয় তাহলে মহাজোটের নীতি নির্ধারকরা যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকে জেতানোর জন্য কাজ করবো।
পাঠকের মতামত: