এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: পরিকল্পিত উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে চকরিয়া পৌরসভার প্রতিটি জনপদের অলিগলি। বিশেষ করে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলমের সার্বিক সহযোগিতায় মেয়র আলমগীর চৌধুরী একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বাস্তবায়নের আলোকে চকরিয়া পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষের মাঝে শতভাগ নাগরিক সেবা নিশ্চিতকল্পে কাজ করে যাচ্ছেন। পৌরসভার নিজস্ব তহবিল ছাড়াও বিশ^ব্যাংকের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিএসপি ও এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে চলমান রয়েছে ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ছোট-বড় অন্তত ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম। অপরদিকে একই প্রকল্পের অধীনে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে গতমাসে নতুন করে টেন্ডার হয়েছে একাধিক মেগাউন্নয়ন প্রকল্পের কাজ।
সম্প্রতি সময়ে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন জনপদে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দে নতুন প্রকল্প সমুহের কাজ গুলো ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। সর্বশেষ এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে ১ কোটি টাকা বরাদ্দে উদ্বোধন করা হয়েছে চকরিয়া জনতা মার্কেট হয়ে সরকারি হাইস্কুল মোড় পর্যন্ত ২৬০ মিটার আরসিসি সড়ক নির্মাণ কাজ। প্রকল্পের আওতায় সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি রয়েছে আধুনিকমানের ড্রেইন, সড়কের দুইপাশে সড়ক লাইটিং স্থাপন কাজ। অপরদিকে নির্মাণ কাজের শুরুতে বেশ কিছু স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। যাতে নির্মাণ কাজে কোন ধরণের ব্যাঘাত না ঘটে।
চকরিয়া জনতা মার্কেট হয়ে সরকারি হাইস্কুল মোড় পর্যন্ত আরসিসি সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পৌরসভার সচিব মাস-উদ মোর্শেদ, হিসাবরক্ষক সফায়াত হোসেন, পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম, উপজেলা ঠিকাদার সমিতির সভাপতি শফিকুল কাদের, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমিন টিপু। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় এলাকাবাসি, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিশ^ব্যাংকের এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে ৭৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ধীন রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে একই প্রকল্পের অধীনে ৯০ কোটি টাকার নতুন টেন্ডার হয়েছে। উল্লেখিত বরাদ্দে পৌরসভার নতুন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন যেমন আরসিসি সড়ক নির্মাণ, আধুনিকমানের ড্রেন,কালভার্ট, লাইটিং, শিশু পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, সলিট ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হবে।
মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের সময় পৌরবাসির কাছে আমার প্রতিশ্রুতি ছিল, পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে চকরিয়া পৌরসভাকে একটি স্বপ্নের মেগাসিটি হিসেবে রূপান্তর করবো। পৌরবাসি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেছেন, আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমি জনগনের আস্থার প্রতিদান দিতে পৌরবাসির সেবা নিশ্চিতে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এমপি জাফর আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের চলমান উন্নয়ন অগ্রগতির সুফল পেতে চলেছে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ। ইতোমধ্যে দুই উপজেলার প্রতিটি জনপদে এগিয়ে চলছে ছোট-বড় একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে তিনটি মেগাপ্রকল্পের কাজ। তারমধ্যে দ্রুতগতিতে চলছে ছয়লেনে নতুন মাতামুহুরী সেতু নির্মাণ কাজ। আলোর পথে উদিয়মান হচ্ছে রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অধীন চকরিয়া উপজেলা অংশের কাজ। পুরোদমে শুরু হয়েছে ৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দে বরইতলী শান্তিবাজার, জিদ্দাবাজার মানিকপুর ইয়াংছা সড়ক নির্মাণ কাজ। সমাপ্তির পথে রয়েছে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে একশত সয্যায় উন্নীত চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের নির্মাণ কাজ।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির অংশহিসেবে মেয়র আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে পৌর পরিষদ বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রতিটি এলাকাকে সাজাচ্ছেন। সম্প্রতি সময়ে একই প্রকল্পের অধীনে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দে নতুন একাধিক প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছে। মুলত এসব নতুন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাছাই বাছাই করতে ও চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি পরির্দশনে এসেছেন জাইকা প্রতিনিধি টিম। আশাকরি ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে অল্পসময়ের মধ্যে পৌরবাসির মাঝে শতভাগ নাগরিক সেবা নিশ্চিত হবে। #
পাঠকের মতামত: