নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
আগামীকাল ১৭ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন। অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলা সাধারণ ওয়ার্ড নং ৬ থেকে সদস্য পদে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী। অপরদিকে চকরিয়া উপজেলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য পদে ভোটের লড়াইয়ের আছেন তিন নারী।
সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আলহাজ আবু তৈয়বের হলফনামায় দুইটি ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে অপর প্রার্থী এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম প্রথমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আপীল কর্তৃপক্ষের কাছে ও পরবর্তীতে আপীল মামলা করেন সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে। গত ৪ অক্টোবর বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এর একক বৈঞ্চ মামলার শুনানী শেষে সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়বের প্রার্থীতা স্থগিত ঘোষনা দিয়ে বিষয়ে পুনাঙ্গ শুনানীর জন্য ১৬ অক্টোবর দিনক্ষন নির্ধারণ করেন। অবশ্যই ওইদিন কক্সবাজার জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে টিউবওয়েল প্রতীক বরাদ্দ পেলেও মুলত সেই থেকে নির্বাচনী মাঠে অনুপস্থিত ছিলেন আবু তৈয়ব।
এদিকে সর্বশেষ গতকাল ১৬ অক্টোবর সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপীল মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সদস্য পদে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে আলহাজ আবু তৈয়ব নির্বাচনের একদিন আগে ভোটের মাঠে নতুন চমক দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি তৈরীর মুর্হুতে সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়ব বিমানে কক্সবাজার হয়ে চকরিয়া উপজেলা ফেরার পথে খুটাখালী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন বলে তাঁর সহকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন।
অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলা সাধারণ ওর্য়াড (নং ৬) থেকে ভোটযুদ্ধে আছেন প্রার্থীরা হলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা), জেলা পরিষদের চকরিয়া মাতামুহুরী অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আবু তৈয়ব (টিউবওয়েল), জেলা পরিষদের চকরিয়া বমুবিলছড়ি ডুলাহাজারা ফাসিয়াখালী অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সাবেক সদস্য অধ্যাপক সোলতান আহমদ (ঘুড়ি), চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক প্রকাশ নুরু চেয়ারম্যানের বড়ছেলে ও সুরাজপুর মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিমের ভাতিজা এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (তালা) ও উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সল চৌধুরী (হাতি)।
অপরদিকে জেলা পরিষদের চকরিয়া পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত (চকরিয়া উপজেলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড) প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন কক্সবাজার ১ (চকরিয়া পেকুয়া) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলমের বড়মেয়ে তানিয়া আফরিন (দোয়াত কলম), কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পাটি কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি আসমাউল হোসনা ( টেবিল ঘড়ি), জেলা পরিষদের সাবেক নারী সদস্য চকরিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রেহেনা খানম রাহু (ফুটবল)।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান চকরিয়া নিউজকে বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলার সাধারণ ওয়ার্ড (নং ৬) ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড (নং ৭) এর চকরিয়া উপজেলা অংশের ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহায়তায় ভোট কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটারদের উপস্থিতিতে ইভিএম এ ভোটদানের প্রদ্ধতি সবাইকে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকাল দুইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ভোটার ২৪৭জন।
এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান মিলিয়ে মোট দুইশত ৫০জন ভোটার।
তবে ভোটারদের মধ্যে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রমজান আলী পরিষদের সচিব ও গ্রাম পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলার আসামি হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয় কর্তৃক বরখাস্ত হবার কারণে ভোট দিতে পারবেনা বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়।
পাঠকের মতামত: