ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া উপজেলা আ.লীগ সম্মেলনের সাত মাসেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি

নিজম্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর। প্রায় সাত মাস হতে চললেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি জাফর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু মুছার কমিটি।

জাফর আলম চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য। ফলে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় দলীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২সালের ১০ সেপ্টেম্বর চকরিয়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একপক্ষের অনুপস্থিত থাকার পরও ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। নানা দাবি তুলে বিএনপি একের পর এক আন্দোলন করছেন। অথচ সম্মেলনের প্রায় সাত মাস পার হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

কেবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া পূর্বের কমিটির নেতারা নিজেদের সাবেক নেতা পরিচয় দিচ্ছেন। সম্মেলনের পর নেতারা উদ্যামী হয়ে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। এখন এই আগ্রহ হারিয়ে অনেক নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে দলীয় কর্মসূচি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্মেলনের পর নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে ৪৫দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। সম্মেলনের পর দীর্ঘদিন কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করায় নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা তৈরি হয়েছে।’

সাবেক কমিটির সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ‘এতদিন কমিটি না হওয়ায় দলীয় কর্মকাণ্ডে নেতা-কর্মীদের অনীহা দেখা দিয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নানা কর্মসূচিতে মোকাবিলা করার জন্য শিগগিরই উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হোক। দলের গঠনতন্ত্রমতে প্রতি দুই মাস পরপর নিয়মিত সভার করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, ‘সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীরা দলের সবধরণের কর্মসূচিতে অংশ নেন। সংসদ নির্বাচনের আগে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করছি। পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘গত ৩১মার্চ থেকে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের আওতাধীন নবগঠিত উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে জমা দিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সকল ইউনিটকে চিঠিও দেওয়া হবে। যাঁরা জমা দিবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

পাঠকের মতামত: