ঢাকা,সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চকরিয়ায় মা-মেয়ে হত্যার ঘাতক খুনি মেহেদী ও তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

জিয়াউল হক জিয়া, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাংবাদিক আব্দুল হামিদের স্ত্রী পারভীন আকতার (৩৮) ও মেয়ে হাফসা মণি (২০) কে ছুরিকাঘাতে ডাবল মাডার করার দায়ে সকল পেশাজীবি পুরুষ-নারীর যৌথ মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের সময় পৌর-শহরে নিউ মার্কেটের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিশাল মানববন্ধন করা হয়।
নিহত-খুনি মেহেদীর স্ত্রী হাফসা মণি (২০) ও শাশুড়ী পারভীন আকতার (৩৮) পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের দিগরপানখালী এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক আব্দুল হামিদের মেয়ে ও সহধর্মিণী।
খুনি-শওকত হাসান মেহেদী (২২) উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন আজমুল্লাহ পাড়ার বাসিন্দা মৌলভী আবুল কাশের ছেলে।সে একজন টিকটকার ছেলে।
মানববন্ধনে প্রতিবাদী বক্তব্য রাখেন-চকরিয়া সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন নুরানী কাফেলার সভাপতি,নিউ মার্কেট ব্যবসায়ীর সভাপতি,ফল ব্যবসায়ীর সভাপতি,পৌরসভার জামায়াতের সেক্রেটারী,পৌর বিএনপির প্রভাবশালী কয়েক জন নেতা,ব্লাড ডোনেটিং ক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক সহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রভাষক,শিক্ষকেরা রাখতে গিয়ে বলেন-একজন টিকটকার খুনি শওকত হাসান মেহেদী বিগত ৭/৮ মাস আগে তুলে নিয়ে দীর্ঘদিন লুকিয়ে রেখে বিয়ে করেছিল।সে সময় সাংবাদিক আব্দুল হামিদ মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল।পরবর্তীতে জেনেছি খুনি মেহেদীর পিতা ও মাতা মেয়ে হাফসাকে লুকিয়ে রেখে ছেলেকে বিয়ে দেয়।পরে মেয়ে হাফসা যখন তার পিতার বাড়ীতে বেড়াতে আসেন।সেই সুবাধে গত ১৭ জানুয়ারী (শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় খুনি মেহেদী নতুন চাকু নিয়ে হঠাৎ শাশুড় বাড়ীতে ঢুকে প্রথমে তার স্ত্রী হাফসাকে চুরিকাঘাত করে।পরে মেয়ের চিৎকার শুনে মা অর্থাৎ সাংবাদিক আব্দুল হামিদের স্ত্রী খুনির শাশুড়ী দৌঁড়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মেহেদী।ঘটনার দিন রাতে লামা থানার পুলিশ খুনি মেহেদীকে আটক করে।
আহত শাশুড়ী পারভীন আকতার গত ৩১ জানুয়ারী (শুক্রবার) ভোর ৫টার সময় চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১৪দিনের মাথায় মারা যান।সুতরাং মা,মেয়ে অর্থাৎ ডাবল মাডার করা খুনি মেহেদী সহ তার পরামর্শদাতা,অর্থদাতা,হুকুমদাতা সকলের ফাঁসি নিশ্চিত করণে আজকের এই মানববন্ধন।দিন-দুপুর খুন করে খুনি আর সহযোগীরা পার পেতে না পারে।সে লক্ষে সকল পেশাজীবি ৬/৭ হাজার মানুষের উপস্থিতি নিয়ে মানববন্ধন করছি।যদি খুনির দ্রুত ফাঁসি নিশ্চিত করা না তাহলে আমরা আগামীতে মানববন্ধন চেয়ে আরো কঠিন সিদ্ধান্তের কর্মসূচি ঘোষণা করে পালন করতে বাধ্য হবো।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুল হামিদ বলেন-আমি আমার মেয়ে হাফসা আর তার মা আমার সহধর্মিণী পারভীনকে হারিয়েছি।সুতরাং তাদেরকে ছুরিকাঘাতে খুন করা জামাতা মেহেদী সহ তার সহযোগী মামলার আসামী সকলের নিশ্চিত ফাঁসি হোক এই কামনায় সংশ্লিষ্ট থানা প্রশাসনের কাছে আসামী গ্রেফতার আর আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি বলে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।

স্টাফ রিপোর্টার,কক্সবাজার
মোঃ-০১৮১১-২০০৫৭৭

পাঠকের মতামত: