ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে মহেশখালীতে বাড়িঘর লন্ডভন্ড, নি¤œাঞ্চল প্লাবিত ও মাঝিমাল্লা নিখোঁজ হয়েছে। ২৯ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বিরতিহীন ‘মোরা’ নামক কাল বৈশাখির আক্রান্তে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, বাড়িঘর লন্ডভন্ড, মুদিরছড়া, সোনাদিয়া, কুতুবজোম, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, শাপলাপুর, বড় মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে অসংখ্য মাঝিমাল্লা নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। আশ্রায়ন প্রকল্প সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ ছৈয়দ জানান, ‘মোরা’ নামক ঘূর্ণিঝড়ে পুরো আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে এলাকার লোকজন অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। এরপরে ও ছোট মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ বিন আলী আমাদের আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকার দিকে দেখা দুরের কথা এলাকার কোন লোকজন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশে যেতে দেয়না। অসংখ্য পানের বরজ ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়েছে, কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শামসুল আলম জানান, মহেশখালীতে ১হাজার হেক্টর জমিতে পানের বরজের চাষ হয় ‘মোরা’ নামক ঘুর্ণিঝড়ে কবলে পড়ে ৫১ কোটি টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পান চাষী সমিতির মহেশখালীর উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অসংখ্য পানের বরজ ধ্বংস হয়ে গেছে পান চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হলে চাষীরা সামান্যতম হলে উপকৃত হবে। কুতুবজোম এলাকার ফিশিংবোর্টের মাঝি আব্দু শুক্কুর জানান, ‘মোরা’ ঘূর্ণিঝড় কবলে পড়ে অসংখ্য মাঝিমাল্লা নিখোঁজ হয়েছে এখনো পর্যন্ত খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। ফলফলাদির বাগানের মালিক ও হোয়ানক ইউনিয়ন মৎস্যজীরিলীগ সভাপতি মোহাম্মদ লিয়াকত আলী জানান, আমার ২০/৩০ একর আম, জাম, কাঠাঁল ও লেবু চাষের বাগান ‘মোরা’ নামক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে যার দরুন আমরা স্ব-পরিবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ‘মোরা’ নামক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে মহেশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
পাঠকের মতামত: