ঢাকা,বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র ঝুঁকি এড়াতে চকরিয়ায় সবধরণের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র ঝুঁকি এড়াতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি হতে রক্ষা পেতে শতাধিক আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলোতে এখনো মানুষ উঠেনি। তবে দ্রæত সময়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান নেওয়ার জন অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার প্রশাসন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, বিস্কুট ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানা গেছে, বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ মোকাবেলায় চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এরইমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ঘুর্ণিঝড় মোকার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় ইউনিয়ন গুলোতে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য চলছে মাইকিং।

চকরিয়া উপজেলার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (সিপিপি) পক্ষ থেকে ১৪০০ স্বেচ্চাসেবী মাঠে নামানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও মাঠে থাকবেন। সিপিপির সদস্যরা উপকুলীয় এলাকা গুলোতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘুর্ণিঝড় মোকার ৮ সংকেত প্রচার করছেন। চকরিয়া উপজেলায় অন্তত ৯৬টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও তিনটি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে এসব আশ্রয়ণ গুলো পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাহাত উজ্জ মান। দূর্যোগকালীন সময়ে এসব আশ্রয়ণ কেন্দ্র গুলোতে মানুষকে দ্রæত সময়ে অবস্থান নে ওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত সরকার জানান, শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা, প্রায় ৫’শ কাটুন বিস্কুট ও পানিবিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকায় আক্রান্ত হলেই আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌছে দেওয়া হবে শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ঘুর্ণিঝড় মোচার মোকাবেলায় প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছেন। ৯৮টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লা গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় দেড় হাজার স্বেচ্চাসেবক মাঠে রয়েছেন। শুকনো খাবার ও পানিবিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গত জনপদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোট ৭০টি বিভক্ত হয়ে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও নার্স এর সমন্বয়ে ১৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা দূর্গত এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালের দুইটি অ্যামম্বুলেন্স ও পুলিশের দুই গাড়ি জরুরী মুহূর্তে পরিবহন কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

পাঠকের মতামত: