সৈয়দুল কাদের :
কক্সবাজারের বিভিন্ন গ্রামে সহজেই মিলছে ইয়াবা। যার ফলে বেড়েই চলেছে ইয়াবা সেবীর সংখ্যা। মাদক সেবীরা ছাড়া সামাজিক ভাবে এটি অপরিচিত হওয়ায় অনেকেই ইয়াবা ব্যবসায় নেমে পড়েছে। যার ফলে ইয়াবার আগ্রাসন রোধ কঠিন হয়ে উঠেছে। সমুদ্র পথে পাচার বেড়ে যাওয়ায় গন্তব্যস্থলে নির্বিঘেœ পৌঁছে যাচ্ছে ইয়াবা।
ইয়াবার ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে প্রশাসন বহুমুখী তৎপরতা শুরু করেলেও ঠেকানো যাচ্ছে না ইয়াবার আগ্রাসন। ইয়াবা ব্যবসায়িরা নিত্য নতুন পথে ইয়াবা পাচার করায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা। এটি দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার হলেও এখন কক্সবাজার জেলার প্রতিটি গ্রামেই ছড়িয়ে পড়ছে ইয়াবা। যার ফলে জেলার প্রতিটি গ্রামেই সৃষ্টি হয়েছে একাধিক ইয়াবা মহাজনের। তারা নির্বিঘেœ খুচরা বিক্রি করছে ইয়াবা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় মাঝে মধ্যে ছোট-বড় কিছু চালান ধরা পড়লেও পাচারকারী সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক অক্ষতই আছে বলে প্রচার রয়েছে। রঙিন এ নেশার ট্যাবলেটের নীল ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। ইয়াবা সেবনের মধ্য দিয়ে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে, সে সঙ্গে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতাও। সাগর পথে মাছ ধরা ট্রলারে করে সরাসরি মায়ানমার থেকে বড় বড় ইয়াবার চালান দেশে ঢুকে পড়ছে। চালান আসছে সড়ক পথেও। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া এসব চালান ধরতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভয়াল ইয়াবা আগ্রাসনের কাছে প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়েছে। সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, সাগরপথে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সতর্ক টহল, সড়ক ও পাহাড়ি পথে র্যাব-পুলিশের তল্লাশির মধ্যেও আসছে ইয়াবার চালান।
গত এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে সম্প্রতি ইয়াবা পাচারের গতি আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খখলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান জোরদার করায় ভিন্ন পথেই পাচার হচ্ছে ইয়াবা। এতে বদরখালী, বাশখালী, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম সড়ক ব্যবহার করছে ইয়াবা ব্যবসায়িরা।
চকরিয়ার বদরখালী বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়েছে। যার মধ্যে ইয়াবাসেবীর সংখ্যা বেশি। এ এলাকায় সহজেই মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবা আনতে পারায় তারা এটিকে ইয়াবার জংশন হিসেবে ব্যবহার করছে। ৩০-৪০ জন লোক প্রকাশ্যে বাজারে ইয়াবা ব্যবসা করছে। তাদের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কালারমারছড়া, শাপলাপুর, হোয়ানক ও মাতারবাড়িতে যাচ্ছে ইয়াবা। এখানে কোনো তল্লাশি না থাকায় সহজেই চলছে ইয়াবা ব্যবসা।
চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ফজলুল করিম জানান, এখন যুব সমাজের হাতে হাতে ইয়াবা। ব্যাপক ভাবে বিস্তার ঘটায় তা বন্ধ করা এখন দুরহ হয়ে উঠেছে। তাই যুব সমাজকে বাঁচাতে ইয়াবা প্রতিরোধের বিকল্প নেই। এটিকে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ করা না হলে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে ইয়াবার আগ্রাসন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ডঃ এ কে এম ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন ইয়াবা প্রতিরোধে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। তথ্য পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রকাশ:
২০১৭-০৭-১৭ ০৭:৩৭:০৫
আপডেট:২০১৭-০৭-১৭ ০৭:৩৭:০৫
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- চকরিয়ায় রেল স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করেছে দুবৃর্ত্তরা
- চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দুই দোকান পুড়ে ছাই,
- চকরিয়ায় মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচল বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের ক্যাম্পেইন
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- নাইক্ষ্যংছড়িতে হতদরিদ্রদের মাঝে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবকে বৈষম্য মুক্ত করতেই হবে
- চকরিয়ায় মাটির টপ সয়েল কেটে বিক্রি : অভিযানে স্কেভেটর ও তিনটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ
- চকরিয়ার বদরখালীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- ফুলছড়িতে ৪৬ টুকরো গর্জন কাঠ ভর্তিগাড়ী জব্দ আটক-১
- চকরিয়ায় আ. লীগ নেতার গোয়ালঘর থেকে চোরাই গরু উদ্ধার
- রামুতে বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতিবাজ আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে হাতি শাবকের ঠাঁই হলো
- ঈদগাঁওতে অনলাইন প্রেস ক্লাবের অভিষেক ও প্রীতিভোজ অনুষ্টান
- চকরিয়ায় রাতের আধারে গরীব মানুষের ঘরের দরজায় গিয়ে শীতের কম্বল দিয়েছেন ইউএনও
- চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বার্ষিক পুনর্মিলনী ও অভিষেক
- চকরিয়ায় মাটির টপ সয়েল কেটে বিক্রি : অভিযানে স্কেভেটর ও তিনটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- ফুলছড়িতে ৪৬ টুকরো গর্জন কাঠ ভর্তিগাড়ী জব্দ আটক-১
- চকরিয়ায় পুলিশের জালে দুই ডাকাত, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
পাঠকের মতামত: