ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

গোমাতলী জরাজীর্ণ ব্রীজ পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান জুয়েল

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাহ ::  কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ গোমাতলী সড়কের জরাজীর্ণ স্ট্রীল ব্রীজ পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল।
বুধবার (২৩অক্টোবর) দুপুরে তিনি সরজমিন ব্রীজ পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজ সংস্কার করার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্ধ দেয়ার আশ্বাস দেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে এ বরাদ্ধ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
পরিদর্শনকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে ছিলেন সদর সেচ্চাসেবকলীগ সভাপতি এড. একরামুল হুদা, পোকখালী আ’লীগ সভাপতি মোজহের আহমদ, সাবেক মেম্বার শামসুল আলম, মাষ্টার কামাল উদ্দীন, আ’লীগ নেতা শাহাব উদ্দীন, রহমত উল্লাহ, যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দীন প্রমুখ।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকারের এলজিইডি সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদের নির্দেশনায়, সদর- রামু আসনের এমপি আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলের সুপারিশক্রমে, উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলের আন্তরিকতায় এবং সদর ইউএনও মাহফুজুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় সংস্কারের এ বরাদ্ধ মিলেছে।
আশা করা হচ্ছে ২/১ দিনের মধ্য সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী হেলাল উদ্দীনকে ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচল উপযোগি করার জন্য তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মোজহের আহমদ বলেন, ঈদগাঁহর কৃতি সন্তান, এলজিইডি সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদের নির্দেশনায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে মুল সেতুর কাজ শুরু করা হবে। সেতু প্রকল্প ফাইল ইতিমধ্যে কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। তার আগেই স্থানীয়দের চলাচলের সুবির্ধাতে উপজেলা প্রশাসনকে তিনি ব্রীজটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগি করার জন্য বলে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে আশা করি ব্রীজের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীবাসী দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজ নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
ঈদগাঁহ ও উপজেলা সদরে যাওয়ার সহজ পথ হওয়ার ফলে ছোট ও ভারী যানবহন চলাচলে ফুটো ব্রীজে জনদূর্ভোগের শেষ ছিল না।
সম্প্রতি স্ট্রীলের ভাঙ্গা পাটাতন দিয়ে সিএনজি, অটো রিকশা ও ছোট বগ গাড়ি চলাচল করতে ঘটেছে দূর্ঘটনা।
এমনকি যে কোন সময় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্রীজে তৈরী হয়েছে মরণফাঁদ।
জরাজীর্ণ ব্রীজের লোহার পাটাতন (স্লিপার ) ভেঙে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি আটকে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট-বড় অনেক যানবাহন।
বিষয়টি পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরা হলে উপজেলা প্রশাসনকে তড়িৎ নির্দেশনা দেন সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ।
দেখা গেছে, ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলী রাজঘাট থেকে এই সড়ক ধরে ঈদগাঁহ যাতায়াতে এ ব্রীজটি জনগুরুত্বপূর্ণ। পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর গোমাতলীতে ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনের জন্য ব্রীজটি এখন একটি বড়ো বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানতে চাইলে কক্সবাজার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ব্রীজটির বেহাল দশা এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আগামী ৫/৬ মাসের মধ্যেই বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজটি নির্মানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার আগেই চলাচল উপযোগি করে তুলতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ করা হবে।

পাঠকের মতামত: