ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

গণপূর্তের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নিরাপত্তাহীনতায় সরকারি অফিস

88-300x177কক্সবাজার প্রতিনিধি :::

কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের সামনে গণপূর্তের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন দখলদাররা। এতে দোকান নির্মাণে করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলেও এসব অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রহস্যজনক কারণে অভিযান চালানো হয়নি দীর্ঘদিন। যার কারণে কক্সবাজার সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের সামনে গণপূর্তের জমি দখল করে অবৈধ দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে দিন পর দিন। এতে দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এসব অবৈধ দখলকারীরা। যার কারণে একদিকে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে গণপূর্তের জমি অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সরকারি অফিস সহ আশেপাশের স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয় ও সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের সামনে রাস্তার দক্ষিণ পাশে গণপূর্তের বিশাল জমি দখলে নিয়েছে আমিন সওদাগর (পেঠান), খোকন, মনির সহ কয়েকজন অবৈধ দখলকারীরা। গণপূর্তের এসব জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। অবৈধ এসব দখলকারীরা কেউ কেউ কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগকে ম্যানেজ করে ও মাসিক ভাড়া দিয়ে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, গণপূর্তের জায়গার উপর এসব অবৈধ দখলকারীরা কোন ধরণের কৈফিয়ত ছাড়ায় চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দিনরাত অচেনা-অজানা নিত্যনতুন মানুষের আনাগোনা ও অবাধ বিচরণ। এর সামনে সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস, জেলা রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়, সির্ভিল সার্জন অফিস, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, কক্সবাজার শাখা অফিস সহ সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট দোকানদার জানান, তারা গণপূর্তের লোকজনকে টাকা দিয়ে দোকান নির্মাণ করেছেন বেশ কয়েক বৎসর আগে। এরপরও প্রতি মাসে মাসিক ভাড়া দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। কে নেয় এসব মাসিক ভাড়ার টাকা প্রশ্ন করা হলে বলতে রাজি হয়নি কেউ।
সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী জানান, সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের সামনে দীর্ঘদিন গণপূর্তের জমির উপর দোকান গড়ে তুলেছে কয়েকজন অবৈধ দখলকারীরা। এসব স্থানে প্রথমে শুধুমাত্র একটি পান বিক্রেতার দোকান ছিল। ক্রমান্বয়ে গড়ে উঠেছে চায়ের দোকান সহ বেশ কয়েকটি দোকান। দীর্ঘ ২/৩ বৎসর আগে উচ্ছেদ করা হলেও আবারও গড়ে তোলা হয়েছে এসব অবৈধ দোকান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গণপূর্তের জমির উপর সংশ্লিষ্ট দখলকারী অবাধে দোকান স্থাপনা গড়ে তোলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয়রা। এসব অবৈধ স্থাপনায় দিন-রাত বসে আড্ডা দেয় নিত্য নতুন মানুষ। সরকারি-বেসরকারি অফিস নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেলেও গড়ে উঠা এসব অবৈধ দোকান বন্ধ করা হয় না সহজে। এসব দোকানে বসে বহিরাগত অনেকে মাদকসেবন করেন। জঙ্গী  সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও অনেক ধরনের কথাবার্তা বলা হয় এসব অবৈধ দোকানে বসে। স্থাপনাগুলো চারিদিকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস। পাশাপাশি স্থানীয়দের বসবাস। বহিরাগতদের অবাধে বিচরণে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে গণপূর্তের জমি দখল করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

পাঠকের মতামত: