মনির আহমদ, কক্সবাজার ; কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দখল করে ৩০ কোটি টাকার সড়ক উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে একদল ভুমিদস্যু। উপজেলার খুটাখালী ৭নং ওয়ার্ড কাঠালিয়া পাড়া, নয়াপাড়া, শিয়াপাড়া, কাছারি পাড়ার মানুষ গ্রামের চতুষ্পার্শ্বের জমিতে লবন ও চিংড়ী চাষ করে জীবীকা নির্বাহ করে। এসব জমিতে উৎপাদিত লবন ট্রাক ও লরি সহ বিভিন্ন ছোট-বড় গাড়ীতে করে দেশের বিভিন্ন শহর বন্দরে পরিবহন করার একমাত্র সড়কটি কাঠালিয়া পাড়া সড়ক। সড়কটির প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের খরচে ব্রীক সলিন করা হয়েছিল।
কিন্তু দখলবাজ কাঠালিয়া পাড়া গ্রামের শাহ আলমের পুত্র মিজানুর রহমান, নাছির উদ্দিন, ও মৃত তৈয়ম গুলালের পুত্র শাহ আলম, সামশুদ্দিনের পুত্র জয়নাল উদ্দিন ও মৃত তৈয়ম গুলালের পুত্র শফিকুর রহমান গং একটি সন্ত্রাসী গোষ্টি। সড়কটি তাদের বাড়ী সংলগ্ন হওয়ার সুযোগে রাতের আঁধারে সড়কটির ইটগুলো খুলে নিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে সড়কটি দখল করে নেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে এই এলাকার পরিবহন সুবিধা।
অথচ বাণিজ্যিক গুরুত্বে দীর্ঘদিনের এই সড়কটির প্রয়োজনীয়তাবৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২৩ অর্থবছরে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩০ কোটি টাকা বরাদ্ধে সড়কটির উন্নয়ন কাজ চলমান ছিল। ওই সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্যরা সড়ক বন্ধ করে মারমুখি আচরনের কারনে এক কিলোমিটার কাজ সমাপ্ত করলেও ওই বাড়ী সংলগ্ন দুইশত ফিট কাজ না করেই বিদায় নেয় ঠিকাদার।
গ্রামবাসীর দাবী, ফুলছড়ি মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৪০৫৯ দাগের উপর স্থিত রাস্তা এটি যা দিয়ে নয়াপাড়া, শিয়াপাড়া, কাছারি পাড়া, লোকজনের চলাচলের ও একমাত্র পথ।
উক্ত পথ দিয়ে স্কুল, কলেজে পড়ুয়া ও লোকজন এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু চলাচল পথের দক্ষিণ পার্শ্বে লোকজন পথের জায়গা নিজের দখলে নেয়ায় সড়কটি সংকোচিত হয়ে যায়। চলাচল পথ খানা সিট অনুযায়ী প্রশস্থকরন একান্ত জরুরী। অন্যথায় এই বর্ষা মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াত, লবন পরিবহন এমন কি লাশ পরিবহনেও অসুবিধা হবে। সড়কটির খুলে দিতে ইউএনও সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
পাঠকের মতামত: