সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে ছনের বিশাল স্তুপ রাখার কারণে স্কুল মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা চলাচলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুলের পশ্চিম পাশে কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে একশ্রেণীর ঘরের ছাউনি (ছন) ডিপো বানিয়ে রাস্তা দখল করে রাখায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। যার কারনে সড়কের এ স্থানে হর হামেশা দূর্ঘটনা লেগেই আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। সরজমিন বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় পরিদর্শনে গেলে এমনতর চিত্র ফুটে উটে এবং তমিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ফুটপাতে ছনের স্তুপ থাকায় মহাসড়কের পূর্বপাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
খুটাখালী কিশলয় স্কুল, তমিজিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে ছন ব্যবসা চালিয়ে আসছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। স্থানীয় পরিষদ ও বাজার পরিচালনা কমিটিকে এ ব্যপারে অভিযোগ দেয়া হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের তদারকি গাফেলতির কারনে মূলত ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র ছন রেখে শিক্ষার্থীদের চলাচলে মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি করছে।
কিশলয় স্কুলের শিক্ষার্থী মনির, আসমা, পুতুল, জানায়, প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওযার পথে এ ছনের ডিপোর কারনে তাদের বাধ্য হয়ে সড়কের উপর দিয়ে যেতে হয়। যার কারনে শিশু শিক্ষার্থীরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বেশি।
তমিজিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাজমা, ফাতেমা ও মুহিউদ্দিন জানায়, ছুটির পর মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে তারা চরম আতংকে কিশলয় স্কুল পয়েন্ট পার হয়। এ স্থানে বিশাল আকারে ছনের ভান্ডার রাখার কারনে তারা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছে না। যার কারনে তারা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করেন।
স্থানীয় নাজিম উদ্দিন, বশির আহমদ ও মো: আয়াজ জানায়, মহাসড়কের পাশে ছনের ব্যবসা দীর্ঘদিনের। তবে এ ব্যবসা সম্পুর্ণ অপরিকল্পিত। যে কোন মুহুর্তে সড়ক দূর্ঘটনাসহ অগ্নি দূর্ঘটনার মত বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরো জানায়, এক শ্রেণীর ছন ব্যবসায়ী পৈত্রিক জায়গার মত যেখানে সেখানে ছনের টাল বাসিয়ে দেদারচে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকি ব্যবস্থা না নিলে সড়ক দূর্ঘটনা লেগে থাকবে বলে তারা মন্তব্য করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশলয় স্কুল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল কবির জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ফুটপাত দখল করে ছন ব্যবসা অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ যে কোন সময় অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি মনে করেন। স্থাানীয়রা অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারী ছন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইওয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির আইসি আনোয়ার অভিযোগ পেয়েছি স্বীকার করে শিঘ্রিই অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
#########################
ঈদগাঁওর উপকূলে ঘন কুয়াশা পলিথিন লবণ উৎপাদন বিঘিœত
সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
ঘন কুয়াশায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর উপকূল এলাকায় পলিথিন পদ্ধতির লবণ চাষ বিঘিœত হচ্ছে। চলমান প্রায় সপ্তাহ ব্যাপী ঘন কুয়াশায় দেশের অন্যতম প্রধান লবণ উৎপাদনক্ষম জেলা কক্সবাজারে লবণ চাষ বড় রকমের হোঁচট খেয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর লবণের দাম তুলনা মূলক ভাবে বেশি থাকলেও পরবর্তীতে তা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। চাষীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যে প্রাথমিক আয়োজন ও প্রস্তুতি নিলেও বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘন কুয়াশা । আকস্মিক কুয়াশাজনিত প্রাকৃতি বিরূপতার কারণে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সপ্তাহ যাবৎ সূর্য্যরে মুখ দেখা না যাওয়ায় লবণ চাষী ব্যবসায়ীরা চলতি মৌসুমে আশানুরূপ লবণ উৎপাদনের ব্যাপারে অনিশ্চয়তায় ভোগছেন। জেলায় অন্যান্য স্থানের ন্যায় তুলনামূলক ভাবে একটু আগেই লবণ মাঠ তৈরীর প্রক্রিয়া ও উৎপাদন শুরু করেছিলেন সদর, টেকনাফ,মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার লবণ চাষীগণ। এসব জমিতে ইতোমধ্যেই কানি প্রতি ৬০/৭০মণ লবণ উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে সূর্য তাপের অভাবে লবণ মাঠে উঠানো সামুদ্রিক লোনা পানি লবণ উৎপাদনের উপযোগী করে প্রক্রিয়া জাতকরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে লবণ উৎপাদনে চরম বিঘিœত হচ্ছে। এদিকে সদর,চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অধিকাংশ চাষীই এখনো উৎপাদন প্রক্রিয়া ও রপ্তানী করতে পারছেন না।
সদর উপজেলার গোমাতলীর লবণ চাষী ও ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ জানান,এ বছর লবণের দাম কম থাকায় চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে পোকখালী গোমাতলীর লবণ চাষীরা নির্ধারিত সময়ের ১মাস আগেই চিংড়ি ঘেরের পানি শুকিয়ে লবণের মাঠ তৈরি করেছেন। কিন্তু গত কয়েকদিনের মেঘলা আকাশ ঘন কুয়াশা কারণে আশানুরূপ লবণ উৎপাদন করা যাচ্ছেনা। লবণ শিল্প এলাকা ইসলামপুরের মিল মালিকগণ এরূপ বৈরী প্রাকৃতি আবহাওয়ার কারণে মাঠ পর্যায়ে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশা ও মেঘ মেধুর আবহাওয়া সহসা উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে লবণ সংশ্লিষ্টদের মাঝে আশানুরূপ প্রত্যাশা বিনষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
পাঠকের মতামত: