সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও ::
কক্সবাজার প্রতিনিধি: নামের কারণে যমে ধরেছে কথাটি পুরনো হলেও বর্তমানে আসামীর নামের সাথে নিরাপরাধ মানুষের নামের মিল থাকায় অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক হয়রানীর পাশাপাশি অনেকে আবার কারাভোগও করেছে। ঠিক এমনিভাবে বন মামলায় হয়রানির শিকার দর্জি দোকানদার মো: আবদু শুক্কুর।
আবদু শুক্কুর চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড জয়নগর পাড়ার ড্রাইভার জালাল আহমদের পুত্র। পেশায় দর্জি দোকানদার। সে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বাজারের পূর্ব পাড়া সড়কে ওয়েলকাম টেইলার্স নামে একটি ছোট্র দর্জি দোকান করে দিনাতিপাত করছে। মিথ্যা মামলার কারনে বর্তমানে সে দোকানঘর বন্দ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানা যায়, আবদু শুক্কুর পেশায় দর্জি দোকানদার হলেও খুটাখালী বালু মহালে অবৈধ সেলু মেশিন জদ্ধের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দু দুবার আসামী হয়েছে। বিগত ২৬ জানুয়ারী কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধিন খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তাসহ উর্দ্ধর্তন কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে বেশকটি মেশিন-পাইপ জদ্ধ করেন। এতে তাকে সু পরিকল্পিতভাবে ৪নং আসামী করা হয়। মামলা নং-০৩ খুটা-ফুল-১৯। মামলায় গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়া অভিযুক্ত আসামীর নাম-ঠিকানার সাথে মো: আবদু শুক্কুরের নাম-ঠিকানার মিল থাকলেও পিতার নাম রয়েছে জালাল ড্রাইভার।
যা নিয়ে এলাকাতে মো. আবদু শুক্কুর ও তার পরিবারের উপর এক ধরনের অজানা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে।
মামলার হয়রানির ব্যাপারে মো. আবদু শুক্কুর বলেন, অবৈধ কাজের সাথে জড়িত না হয়েও বারবার আসামীর খাতায় নাম তুলছে বনবিভাগ। একইভাবে বার বার মুল আসামী না হলেও বালু লুটের মামলায় আসামী হওয়ায় এলাকার মানুষ ভাবছে-আমি অপরাধী। এখন আমার ভিতরেও অজানা ভয় কাজ করছে। প্রতিবারই কিছু না কিছু টাকা খরচ হচ্ছে। পরিবার আমাকে নিয়ে সবসময় অজানা এক আতঙ্কে থাকে।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়ত হোসেনের সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি জানান, এটা অনেক আগের ঘটনা। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে আশ্বস্থ করেন।
তার পরিবারের দাবি, এইভাবে আবদু শুক্কুরকে বার-বার হয়রানি বা সমাজের চোখে অপরাধী না বানিয়ে প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করে, সকল তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাচাই করে তাকে অজানা আতঙ্ক থেকে মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করা হয়।
পাঠকের মতামত: