এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরবাসির দুর্যোগ-দু:সময়ে পাশে থেকে ইতোমধ্যে মানবতার ফেরিওয়ালা উপাধী পেয়েছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী। বিশেষ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের এই দু:সময়ে তিনি সবার আগে পৌরবাসির পাশে এগিয়ে এসেছেন। সরকারি নির্দেশনার আলোকে তিনি পৌরসভার প্রতিটি জনপদে জীবানুনাশক স্প্রে পানি ছিটানো কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের গুরুত্বর্পুণ পয়েন্টে স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে স্থাপন করেছেন চারটি করে ৩৬টি পানির ড্রাম। এসব ড্রামে জীবানুনাশক সাবান পানি দিয়ে সর্বস্থরের জনসাধারণ সুরক্ষা নিশ্চিতে হাত পরিস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
চকরিয়া পৌরবাসির সুরক্ষা নিশ্চিতে মেয়র আলমগীর চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় জীবানুনাশক স্প্রে পানি ছিটানো ও প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে বসানো ড্রামে সাবান পানি দিয়ে জনগনের হাত পরিস্কার করা কার্যক্রম কর্মসুচির পাশাপাশি করোনা সংক্রমণে বেকার হয়েপড়া পৌরবাসির জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হন মেয়র আলমগীর চৌধুরী।
ইতোমধ্যে সরকারি বরাদ্দ থেকে প্রাপ্ত ১৩ মেট্রিক টন ও পৌরসভার তহবিল থেকে আরো ৩৭ মেট্রিক টন চাল কিনে মেয়র আলমগীর চৌধুরী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কর্মহীন ৫০০০ হাজার পরিবারের মাঝে (প্রতি পরিবারকে) ১০ কেজি করে চাল দিয়েছেন।
সর্বশেষ রবিবার (১২ এপ্রিল) তিনি করোনা পরিস্থিতিতে (কোয়ারেন্টাইন) ঘরবন্দি থাকায় খাবার সংকটে পড়া পৌরসভার বিভিন্ন জনপদে প্রবাসীদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী। প্রতিটি প্রবাসির বাড়িতে গিয়ে তিনি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি পিঁয়াজ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু ও জীবাণু সুরক্ষার ১টি সাবান বিতরণ করেছেন।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, দেশে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবে এক মহাসংকটের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশেও বাড়ছে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা। তেমনি চকরিয়া পৌরসভার বাসিন্দা অনেক প্রবাসি ভাইদের পরিবার নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে আছেন। বিশেষ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসি পরিবার বর্তমানে খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেকে পরিবার। তাই প্রবাসীদের পরিবারের দুর্দশার কথা চিন্তা করে তাদের পরিবারে পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলাম।
তিনি বলেন, শুধু প্রবাসি নন, করোনা সংক্রমণের প্রভাবে কর্মহীন হয়েপড়া সর্বসাধারণের এই দুর্যোগ-দু:সময়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত। #
পাঠকের মতামত: