ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কোনখালীতে কবরস্থান দখল চেষ্টায় থানায় অভিযোগ করায় ক্ষুদ্ধ বিবাদীরা

স্বাক্ষী শহীদ দৌলতের ভাগ্নে সোহেলকে হয়রানি!

সুনীপ দাশ সৌরভ, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আহম্মদ আলী জামে মসজিদ সংলগ্ন নেছার উদ্দিন গংয়ের পারিবারিক কবরস্থানের ৩০ শতাংশ জায়গার জবর-দখল চেষ্টা ও গাছপালা কেটে সাবাড় করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বিবাদীরা। এমনকি ওই অভিযোগে স্বাক্ষী হিসেবে নাম থাকায় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত শহীদ দৌলত খানের আপন বড়বোন কমরুন্নেছার পুত্র মোহাম্মদ সোহেলকে হয়রানি করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে ওই বিবাদীচক্র। প্রতিনিয়ত স্বাক্ষী সোহেলকে বিভিন্ন ঘটনার সাথে জড়িয়ে দিয়ে বিভিন্ন থানায় মামলার আসামী করার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সোহেল।

লিখিত অভিযোগে সোহেল দাবি করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য করার পাশাপাশি সুনামের সাথে আওয়ামী লীগ দলীয় পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয় আমিনুল হক, ছৈয়দুল হক, বাহাদুর হোসেন, শাহাব উদ্দিন, হোছাইন মো. আরিফসহ একটি প্রভাবশালী দুর্বৃত্তচক্র আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য কয়েকবছর আগের নারী অপহরণ সংক্রান্ত ঘটনা থেকে দুর্বৃত্তরা রেহাই পেতে পেকুয়ার রাজাখালীর নূরীর পাড়ার সন্ত্রাসী আরিফকে বাদী বানিয়ে একটি নাটক সাজিয়ে তার (সোহেল) বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি গণমাধ্যমেও বিষয়টিকে সামনে এনে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনাখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের হাজির পাড়ার নেছার উদ্দিন গংয়ের মালিকানাধীন মসজিদ সংলগ্ন যে কবরস্থানটি রয়েছে সেখানে আমার মামা স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত শহীদ দৌলত খানের কবরস্থানও রয়েছে। এ কারণে সেই কবরস্থানের জায়গা জবর-দখলে বাধাপ্রদান এবং গত ২৯ জুন এ সংক্রান্ত থানায় করা অভিযোগে আমি স্বাক্ষী হওয়ায় নতুন করে আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসাসহ ইতোমধ্যে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তার কোন সত্যতাই নেই।

শহীদ দৌলত খানের বড়বোন কমরুন্নেছা অভিযোগ করেন, আমার ছোটভাই শহীদ দৌলতখানের কবর স্থানসহ পুরো ৩০ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্যই তার ছেলে সোহেলকে হয়রানি করছে প্রভাবশালী মহলটি। তাই তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: