ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় লবন উৎপাদনে মাঠে নেমেছে চাষিরা

এম. এ মান্নান, কুতুবদিয়া :: ২০১৯-২০ অর্থ বছরে লবন উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে কুতুবদিয়ার লবন চাষিরা।

সাধারণত: নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মাঠ তৈরির কাজ শুরু করলেও এবার আবহাওয়া পরিবর্তনে অক্টোবরের শেষে চাষিরা মাঠ তৈরির কাজ শুরু করে।

তবে শুরুতে মাঠ তৈরিতে হোচঁট খেয়েছে চাষিরা। সদ্য আর্বিভুত ঘুর্ণিঝড় বুলবুলির প্রভাবে বৃষ্টিপাতে মিঠা পানিতে ডুবে যায় মাঠি। পিছিয়ে যায় মাঠ তৈরির কাজ।

স্থানীয় বিসিক ও বিভিন্ন তথ্য মতে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৬ হাজার ৯৮০ একর জমিতে লবন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া লেমশীখালীতে লবন প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিসিক) রয়েছে ৭৯ একর লবন মাঠ। গত দু‘বছর ধরে লবনের দাম পাচ্ছেনা চাষিরা।
কিন্তু জমির লাগিয়ত মূল্য বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অধিকাংশ লবন চাষের জমি লবন ব্যবসায়িদের দখলে।উপজেলায় অন্তত ২০০ লবন ব্যবসায়ি রয়েছেন। যারা চাষিদের লবন বেচেঁই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তারা উচ্চ দামে চাষিদের কাছে উৎপাদিত লবন দেবে এমন চুক্তির মাধ্যমে লাগিয়ত দিয়ে থাকে। প্রতি একর লবন জমি একসনা ৮০/৮৫ হাজার টাকা। একই সাথে বেড়েছে মাঠে ৬ মাসের জন্য লবন শ্রমিক ৮০ থেকে ১১০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভাল হলে প্রতি একরে ৭০০ মণ সাদা লবন উৎপাদন হয়ে থাকে।

কৈয়ারবিল সেন্টার পাড়ার লবন চাষি অনন্ত নাথ, মধ্যম কৈয়ারবিলের মন্জুর আলম চকরিয়া নিউজকে জানান, লবনের দাম নেই। মাঠে পুরাতন প্রতিমণ লবন ১৬০ টাকা। দাম বাড়বে সেই আশায় চাষ করা শুরু করেছি।এ ছাড়া বিদেশ থেকে লবন আমদানির গুজবেও লবন ব্যবসায়িরা মাঠ পর্যায়ে দাম কমিয়ে দেন। কষ্ট করে উৎপাদিত লবন ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তারা মনে করেন।

উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের লবন ব্যবসায়ি সামসুল আলম,ব্যবসায়ি মো. হোছাইন বলেন, মাঠে পুরাতন লবনের দাম প্রতিমণ ১৬০-১৭০ টাকা। মন্দা যাচ্ছে মওসুম। নতুন লবন উৎপাদনে চাষিরা মাঠে নেমেছে। নতুন লবন ওঠার আগে দাম না বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত শুধু চাষিরা হবেনা,সেই সাথে লবন ব্যবসায়িরাও আর্থিক লোকসানে পড়বে।

স্থানীয় বিসিকের সহকারি পরিদর্শক হাফেজ জাকের হোছাইন চকরিয়া নিউজকে বলেন, নতুন অর্থ বছরে লবন উৎপাদনে ব্যক্তিগত মাঠে চাষিরা মাঠ তৈরির কাজ শুরু করেছে। তাদের বিসিক মাঠে ৭৯ একর লবন জমি প্রান্তিক চাষিদের মাঝে একসনা বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়ায় ফরম বিতরণ চলছে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: