ঐ নতুনের কেতন উড়ে কালবৈশাখির ঝড়,তুরা সব জয়ধ্বনী কর। সব জঞ্জাল ও কুসংস্কারকে ছুড়ে ফেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা নিয়ে বাংলা নতুন বছরকে নানা আয়োজনে বরণ করেছে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন। তাদের ভিন্নধর্মী বর্ণিল এই আয়োজনে অনন্য ভূমিকা পালন করেছে কুতুবদিয়া শিল্পকলা একডেমি। ১৪ এপ্রিল ( বৃহষ্পতিবার) পহেলা বৈশাখ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ সকাল নয়টায় পান্তা উৎসবের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোরশেদুল করিমের নিয়ন্ত্রনে এসময় পান্তার সাথে ইলিশ না থাকলেও হয়েছে সামূদ্রিক লইট্টা বুনার সাথে মরিচ ও আলুর বর্তা।এর পরপরই ইউএনও’র নেতৃত্বে বের করা হয় মঙ্গলশুভাযাত্রার বর্ণাঢ্য র্যালি। উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিন করে অফিসার্স ক্লাবের মাঠে এসে শেষ হয় এটি। কুতুবদিয়া শিল্পকলা একাডেমির সক্রিয় সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও বাংলাদেশ বেতারের শিল্পী তাহরিমা আফরোজ টুম্পার নান্দনীক উপস্থাপনায় প্রশিক্ষক মাস্টার সমীর শীলের নরলস প্রচেষ্টায় হাতে গড়া মাহি, মিশু,মাশুক,ইয়াসমিন,সুমা,তারেক,তাসফিয়া,মাহিয়া,নিউটন,মারুফ,অসীম, রাজিব এর মত শিুশু শিল্পীদের অনবদ্য পরিবেশনার মাঝে বৈশাকের গান গেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালেহীন তানভীর গাজীও। অসাধারণ কন্ঠে গান করেন তিনি। গানের ফাঁকে ফাঁেকই চলে ফাহিয়া,নওরিন,রফিয়া ও তাজরিয়ার শৈল্পীক নাচ। পিয়াঁনো বাদক ছিলেন কুতুবদিয়ার অন্যতম শিল্পী নজরুল ইসলাম। পরে বাংলার ঐতিহ্যের আবহকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে উপজেলার কাইমুল হুদা সরকারি প্রাথমিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শমশের নেওয়াজ মুক্তার নির্দেশনায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচালিত হয় অন্যরমক ফ্যাশন শো। এসময় উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিন,সদ্য বিদায়ী সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মুহাম্মদ রজব আলী, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মহসীন,মৎস্য কর্মকর্তা বেনজির আহমদ,সমবায় কর্মকর্তা কামাল পাশা,কানুগো সাজিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ। চির নতুনের ডাক দিয়ে , আনন্দের রঙ ছড়িয়ে চরাচরে এসেছে বৈশাখ। বৈশাখের এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন উপজেলার নব নির্বাচিত চেয়াম্যানসহ বিশিষ্টজন,নানা পেশা ও শ্রেণির নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
পাঠকের মতামত: