মু. গিয়াস উদ্দিন, কুতুবদিয়া থেকে ফিরে :::
কক্সবাজারের প্রতিবেশ সংকাটপন্ন উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার উত্তর ধূরং এর উত্তরের চরসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে উপকূলীয় বন বিভাগের সৃজিত ঝাউগাছ দেদারসে নিধন করছে সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপকূলীয় বন বিভাগ কুতুবদিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তারা নিরব রয়েছে!
জানা যায়, বন বিভাগের এ নিরবতার কারনেই সংকাটপন্ন এ দ্বীপে নির্বিচারে বন বিভাগের সৃজিত ঝাউগাছ নিধন অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্রতিবেশ সংকাটপন্ন থাকা এ দ্বীপ চরম হুমকির মধ্যে পড়ছে। দিন দুপুরে নির্বিচারে ঝাউগাছ নিধন করে লবণের মাঠ তৈরি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি। দ্বীপের মাটি ক্ষয় ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সরকার কোটি টাকা খরচ করে এ ঝাউগাছগুলো রোপন করেছিল। কিন্তু কুতুবদিয়া রেঞ্জর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবু অসীত কুমারের যোগসাজশ করে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি অবৈধ ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘ দিন ধরে নির্বিচারে ঝাউগাছ নিধন করে আসছে। বন বিভাগের নিরব ভূমিকার কারণে এলাকার সচেতন মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুতুবদিয়া দ্বীপের উত্তর ধুরং ইউনিনের প্রভাবশালী এক ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন মিলে ঝাউগাছ কেটে লবণের মাঠ তৈরী করছে। কিন্তু বন বিভাগ তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা অবিলম্বে বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ঝাউগাছ নিধনকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবু অসিত কুমারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি গত কয়েক দিন পূর্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করা হচ্ছে। বন নিধনকারীদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা। এছাাড়ও তার সাথে কোন বন নিধনকারী চক্রের সাথে আঁতাতও নেই বলে দাবী করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ রেঞ্জ কর্মকর্তা বিগত ৭ বছর ধরে কুতুবদিয়ায় কর্মরত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে কর্মরত থাকার ুসুযোগ স্থানীয় বন নিধনকারী চক্রের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী হয় এ কর্মকর্তার। নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লেও উপকূলীয় বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলায় জলবায়ু ফান্ডের অধীনে দ্বীপের চারপাশে সবুজ বনায়নের জন্য লাখ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রেঞ্জ কর্মকর্তা অসীত কুমার ও উপকূলীয় বন ভিভাগের কিছু কর্মকর্তা মিলেমিশে ভূঁয়া বিল ভাইচার তৈরী করে বনায়নের লাখ লাখ টাকা নয়ছয় করেছেন। যাহা বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা সরেজমিনে তদন্ত করলে উপকূলীয় বন বিভাগের কুতুবদিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তার আরো বহু অনিয়ম ও দূর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে। কুতুবদিয়া দ্বীপ বাসী অবিলম্বে ওই রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবী করেছেন।
পাঠকের মতামত: