ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় জোয়ার-ভাটায় ভাসছে ১০ গ্রাম

আব্বাস সিদ্দিকী, কুতুবদিয়া :: কুতুবদিয়ায় ফের পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ১০ গ্রাম। উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাজীর পাড়া, কিরণ পাড়া, চৌধুরী পাড়া, সাগর পাড়া, পন্ডিত পাড়া, তেলি পাড়া, হকদার পাড়া, নাছিয়ার পাড়া, হায়দার পাড়া, কাহার পাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ১০ গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়।

শনিবার (২৪ জুলাই ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাগরে লঘু চাপের কারণে বাতাসের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট উচ্চতায় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। মুহুর্তের মধ্যে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফসলের মাঠ, বিভিন্ন স্থাপনাসহ প্রায় ১০ গ্রাম তলিয়ে যায়। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ঘরবাড়ি হারানো নিম্ন আয়ের মানুষেরা। যাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে তাদের অনেকেই পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আবছার বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় পূর্ণিমার জোয়ারের পানি ঢুকে বসতভিটা ও পুকুর তলিয়ে যায়। এতে অনেক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আজকে পূর্ণিমার জোয়ারের দ্বিতীয় দিন। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এভাবে জোয়ার-ভাটায় ভাসতে হবে। তবুও বসবাসের অযোগ্য হলেও করার কিছু নেই বলে জানান।

এব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আলী আকবার ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ্ছাফা (বি.কম) জানান, মাসের পর মাস চলে যাচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগের দেখা নেই। পশ্চিম দিকে দেড় কিলোমিটারে জনবসতি আর দেড় কিলোমিটার ফসলের মাঠ ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। মোট তিন কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ সম্পূর্ণ বিলীন। এই পূর্ণিমার জোয়ারে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে পানিতে সয়লাব হয়ে যাবে বলে আশংকা করেন তিনি।

এদিকে, জোয়ারের পানিতে সর্বহারা মানুষের অবস্থা দেখতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা: নুরের জামান চৌধুরী। তখন তিনি দুর্গতদের সহায়তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। তার সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস, ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আ’লীগের ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

পাঠকের মতামত: