ঢাকা,শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাল্য বিয়ে দেওয়ায় আইনজীবিসহ ৪ জনকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়া ::

কুতুবদিয়ায় বাল্য বিয়েতে সহযোগীতা করায় মোবাইল কোর্টে এক আইনজীবিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে বরের পিতা, কনের মাতা-পিতাকে প্রতিজনকে আদালত জরিমানা করেছেন ১৫ হাজার টাকা করে। আজ শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার রায় এ জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে সবাইকে ১৫ দিনের জেল প্রদানেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার লেমশীখালী বশির উল্লাহ সিকদার পাড়ার নুরুল আবছারের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী আসমাউল হুসনা (১২) কে বিগত প্রায় ৩ মাস আগে একই ইউনিয়নের আনুমিয়াজির পাড়ার মোস্তাক আহমদের পুত্র হেলাল উদ্দিন এর সাথে বিয়ে ঠিক করে। এসময় তৎকালীন নির্বাহি অফিসার মনোয়ারা বেগম খবর পেয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। একই সাথে তিনি কনের মা-বাবার কাছ থেকে মুছলেকা নেন।

পরবর্তীতে কুতুবদিয়া আদালতের আইনজীবি ফিরোজ আহমেদ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গোপনে ভূয়া জন্ম তারিখ সৃষ্টি করে অন্যত্র কাবিন করান। শনিবার আনুষ্টানিক ভাবে বর পক্ষ কনেকে নিতে এলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপক কুমার রায় খবর পেয়ে পুলিশ সহ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে নিয়ে আসেন। রাতেই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে সহযোগীতা করায় আইনজীবি মো. ফিরোজ আহমদকে ২০ হাজার টাকা, বরের পিতা মোস্তাক আহমদকে ১৫ হাজার, কনের পিতা নুরুল আবছারকে ১৫ হাজার, কনের মা রোকসানা বেগমকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অর্থ দন্ড অনাদায়ে সবাইকে ১৫ দিনের সাজাও প্রদান করেন তিনি।জরিমানা প্রদানের আগ পর্যন্ত সবাইকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয় বলে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার রায় সাংবাদিকদের জানান।

পাঠকের মতামত: