ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কারান্তরীন পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে পদ শূণ্য ঘোষনা

এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া  ::  কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম অস্ত্র ও গুলির মামরায় ২১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারান্তরীন হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শূণ্য ঘোষনা করা হয়েছে। বুধবার ৭ আগষ্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এই পদটি শূণ্য ঘোষনা করা হয়। ফলে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ফের উপ-নির্বাচন হবে।
গত ২৪ মার্চ পেকুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি শপথ নেয়ার পর ৫মে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৯মে আদালতে হাজির হয়ে অস্ত্র মামলায় সাজা পরোয়ানা থেকে জামিন চাইতে আদালতের উপস্থিত হলে জামিন না মঞ্জুর করে বিজ্ঞ হাকিম জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, কক্সবাজার-১ স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের ২০১৭ সালের মামলা নং-১৫৮ এবং পেকুয়া থানায় ২০১৭ সালের ১৩ আগষ্ট একটি জি.আর মামলা নং-১২৩ দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ৯ মে ওই দুটি মামলার অস্ত্র আইনে ১৪ বছর ও গুলি রাখার অপরাধে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে জাহাঙ্গীর আলমকে জেল হাজতে প্রেরন করেন আদালত। রায়ের সময় নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
জাহাঙ্গীর আলম কারান্তরীন অবস্থায় তার আত্মীয়রা আইনজীবির মাধ্যমে নি¤œ আদালতের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দুটি মামলা স্থগিত ও জামিন প্রার্থনা করেন। হাইকোর্ট তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত না করে ছয় মাসের জামিন প্রদান করেন। তার মুক্তির আগেই ২০১৯ সালের ২৩ মে সুপ্রিম কোর্ট জাহাঙ্গীর আলমের জামিন আদেশ স্থগিত করেন।
যেহেতু তিনি দুটি মামলায় আদালত কর্তৃক ২১ বছরের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করায় উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১১ এর ধারা ৮(২)(ঘ) অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাই সরকার জাহাঙ্গীর আলমকে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন এবং পদটি শূণ্য ঘোষনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ আদেশ নিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

পাঠকের মতামত: