হিলারি ক্লিনটন যদি নির্বাচনে জিতে যান, তবে তিনিই হবেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম ‘মাদাম প্রেসিডেন্ট’। এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই এখন পর্যন্ত বেশি। জনমত জরিপে এখনও নিরাপদ দূরত্বে এগিয়ে তিনি। তাই পর্দার আড়ালে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, হোয়াইট হাউজে কে থাকবেন তার ঘনিষ্ঠ সার্কেলে? ২৪ বছর ধরে জাতীয় রাজনীতিতে জড়িত হিলারি। প্রশাসনে রাখার মতো লোকের অভাব নেই তার। এ বছর নিজের নির্বাচনী শিবির বাছাইয়ে তার মনোযোগ ছিল ভারসাম্যের দিকে। দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত মিত্র যেমন আছে, তেমনি জায়গা পেয়েছেন কিছু তরুণ তুর্কি। মঙ্গলবার যদি জিতে যান হিলারি, কেমন হবে তার প্রশাসন?
পলিটিকো ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণীতে বলা হয়, নিজের প্রশাসনে লোক নিয়োগে ভারসাম্য রক্ষার ফর্মুলাই বজায় রাখবেন তিনি, এমনটা আশা করা ভুল হবে না। প্রশাসনে যেমন থাকবে দশকের পর দশক ধরে পাশে থাকা কাছের লোকজন। তেমনি থাকবে দক্ষ অল্পবয়সীরাও, যারা সম্ভবত আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করেছেন। হিলারির সবচেয়ে আস্থাভাজন এমন ১২ জন সহযোগির তালিকা তৈরি করেছে পলিটিকো। এমনকি বলা হয়েছে, তারা হিলারি প্রশাসনে কী কী দায়িত্ব পেতে পারেন।
শেরিল মিলস Ñ জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা
হিলারির দুনিয়ায় শেরিল হলেন ক্ষমতার ভারকেন্দ্র। প্রশাসনে দায়িত্ব পালনের সময়, কিংবা বাইরে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, হিলারির পাশে তিনিই ছিলেন। অভিশংসনের সময় হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটনের অন্যতম আইনজীবী ছিলেন শেরিল। আর হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর, শেরিল হয়েছিলেন তার চীফ অব স্টাফ। এবার হিলারির প্রচারণা শিবিরে আনুষ্ঠানিক কোন দায়িত্ব নেই তার। কিন্তু এরপরও কখনই কর্মযজ্ঞ থেকে দূরে ছিলেন না তিনি। ক্যাম্পেইন চেয়ারম্যান জন পডেস্টার পাশাপাশি তিনিও ভাইস প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া তত্বাবধান করেছেন। ইমেইল স্ক্যান্ডাল সামাল দেওয়ার কাজে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। হিলারির ১১ ঘন্টাব্যাপী বেনগাজি শুনানির জন্য বক্তব্য প্রস্তুতে সহায়তা করেছেন। হিলারি প্রশাসনে জ্যেষ্ঠ পদে যাওয়া থেকে শেরিলকে বিরত রাখতে পারে কেবল একটা জিনিসই। সেটা হলো, তার বর্তমান অবস্থান। তিনি নিজেই এখন একটা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তার প্রতিষ্ঠান আফ্রিকায় ভালো ব্যবসা করছে। তবে এরপরও হিলারির মূল উপদেষ্টাদের একজন থাকবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে থাকার দায়িত্ব আর ঘেরাটোপ তার থাকবে না।
রবি মুক Ñ জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা
রবি মুককে প্রচারণা শিবিরে অন্তর্ভূক্ত করার যে সিদ্ধান্ত হিলারি নিয়েছিলেন, তা অনেকের কাছেই বিস্ময় হয়ে দেখা দেয়। কারণ, সাধারণত অতীতে হিলারি তার সঙ্গে কাজ করা লোকদেরই পদোন্নতি দেন। হুট করে কাউকে বড় পদ দেন না। কিন্তু মুকের মাঠে সাংগঠনিক কাজ করার দক্ষতা রয়েছে। হিলারি নেভাদা ককাসে জয়ী হওয়ার পর, ব্রুকলিনে হিলারির লোকজন এ দক্ষ ব্যবস্থাপককে নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে। হিলারির দীর্ঘদিনের সেরা বন্ধু টেরি ম্যাকলিফের গভর্নর নির্বাচনের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে দৃষ্টি কাড়েন রবি মুক। এছাড়া ২০০৮ সালে হিলারির ব্যর্থ নির্বাচনী প্রচারাভিযানেও তারকা বলতে ছিলেন তিনিই। ওহাইয়ো ও নেভাদায় দায়িত্ব ছিল তার। আর উভয়টিতেই হিলারিকে জয়ী করে এনেছিলেন।
ব্রায়ান ফ্যালন Ñ প্রেস সেক্রেটারি
জ্যেষ্ঠ সিনেটর চাক শামার ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারের যোগাযোগ সহযোগী ছিলেন ফ্যালন। এবার হিলারির দলে তিনি ছিলেন নতুন সংযোজন। আগে হিলারি পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বা ব্যাক্তিগত যোগাযোগ ছিল না তার। মেধাবী বলে সুনাম আছে। কিন্তু এর চেয়ে বড় ব্যাপার কাজ করেছে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা। হিলারির শিবির এবার প্রচুর শক্তি ক্ষয় করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তার ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করা নিয়ে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে। আর এখানেই ত্বরিতকর্মা ছিলেন তিনি। তাই খুব দ্রুতই উভয় ক্লিনটনের আস্থার পাত্র হয়ে উঠেন ফ্যালন। টেলিভিশনে তিনিই হয়ে উঠেন সবচেয়ে কার্যকরী সারোগেট। হিলারির আরেক গণমাধ্যম সহযোগী নিক মেরিলও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন। সরকার থেকে হিলারি বেরিয়ে আসার পর থেকে কয়েক বছর ধরে বলতে গেলে একাই তার গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো সামলিয়েছেন নিক মেরিল।
ক্যারেন ফিনে Ñ ডেপুটি কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর
কয়েক দশক ধরে হিলারির দলে চেনা মুখ ফিনে। নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন ফার্স্টলেডি হিলারির প্রেস সচিবের দায়িত্ব দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু। তিনি ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির যোগাযোগ পরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন। হিলারির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক হৃদ্যতাপূর্ণ। এ মৌসুমে হিলারির রানিংমেট টিম কেইনের যোগাযোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। নিজের প্রশাসনে ৫০ শতাংশ নারী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন হিলারি। তাই ক্যারেন ফিনের অন্তর্ভূক্তি এখানে গুরুত্বপূর্ণ। প্রচারাভিযান থেকে হোয়াইট হাউজে পাড়ি জমাতে পারেন লিলি অ্যাডামসও। আইওয়াতে হিলারির গণমাধ্যম ইস্যুগুলো সামলিয়েছিলেন এই উঠতি তারকা।
হুমা আবেদিন Ñ ব্যাক্তিগত সহকারী
হুমা আবেদিন হিলারির সঙ্গে কাজ করেছেন অন্য সবার চেয়ে বেশিদিন। তবে এফবিআই পরিচালক জেমস কমি সর্বশেষ হিলারির ইমেইল পুনঃতদন্তের ঘোষণা দেওয়ায়, হুমা আবেদিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের জন্ম নেয়। কারণ, ইমেইলগুলো পাওয়া গেছে হুমার সাবেক স্বামীর কম্পিউটারে। ২০ বছর আগে হিলারির সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন তিনি। তখন হিলারি ছিলেন ফার্স্টলেডি, আর হুমা ছিলেন তার কার্যালয়ের শিক্ষানবিশ। বলতে গেলে নিজের গোটা ক্যারিয়ারই তিনি কাটিয়েছেন বসের পাশে থেকে। এ মৌসুমে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। অনেক অর্থ সংগ্রহের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন তিনি। এমনকি নির্বাচিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে হিলারির পক্ষে তিনিই যোগাযোগ করেছেন বেশি। তবে প্রশ্ন উঠছে এ হুমাকে নিজের প্রশাসনে আনতে পারবেন কিনা হিলারি। সামনের তদন্ত কোথায় গিয়ে গড়ায়, কে জানে! হিলারির নিজস্ব ঘরানার অনেকের প্রশ্ন এ নারীকে হোয়াইট হাউজে নিয়ে যাওয়াটা বিচক্ষণ কাজ হবে কিনা। কিন্তু বেশিরভাগই মনে করছেন, হিলারি বিশ্বস্ততাকেই প্রাধান্য দেবেন।
জেনিফার পালমেরি Ñ যোগাযোগ পরিচালক
হিলারি শিবিরে এখনই যোগাযোগ পরিচালকের কাজ করছেন তিনি। কিন্তু অনেকে তার এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কারণ, হোয়াইট হাউজে এর আগেও যোগাযোগ পরিচালকের কাজ করেছিলেন তিনি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার যোগাযোগ পরিচালক হওয়া আর বেশ অজনপ্রিয় একজন প্রার্থীর হয়ে একই কাজ করাটা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু পালমেরি হলেন জন পডেস্টার পছন্দ। হিলারির সঙ্গে আগে তেমন যোগাযোগ ছিল না তার। কিন্তু নতুন হয়ে এলেও তার সঙ্গে ব্যাক্তিগত হৃদ্যতা তৈরি করতে পেরেছেন পালমেরি। গণমাধ্যমের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতা গড়তেও হিলারিকে রাজি করিয়েছেন তিনি। প্রচারণার শেষ মাসে তিনি হয়ে উঠেছেন প্রধান জ্যেষ্ঠ কৌশলবিদ। প্রায় প্রতিদিনই তিনি থাকেন হিলারির পাশে।
নিরা ট্যান্ডেন Ñ জ্যেষ্ঠ স্থানীয় নীতি সংক্রান্ত উপদেষ্টা
নিরা আগেও ক্লিনটনের শীর্ষ পলিসি উপদেষ্টা ছিলেন। বর্তমানে তিনি সেন্টার ফর আমেরিকান প্রগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও। এর আগে এই উদারপন্থী থিংকট্যাংকের প্রধান ছিলেন জন পডেস্টা। এবার আনুষ্ঠানিক দায়িত্বে না থাকলেও, হিলারি ও পডেস্টার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তিনি। এর আগে সিনেটর থাকাকালে ও ২০০৮ সালের প্রচারণার সময় হিলারির পাশে ছিলেন ট্যান্ডেন। স্থানীয় বিভিন্ন নীতিনির্ধারনে হিলারি প্রায়ই তার পরামর্শ গ্রহণ করেন। সাইডলাইনে থেকে এবার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। অনেক সময় নিজের উদ্বেগ তিনি সরাসরি হিলারিকে জানান। বক্তৃতা ঠিক করায় ভূমিকা রাখেন। সরাসরি কোন কিছুকে বিচার করার ক্ষমতা আছে তার। ট্যান্ডেন ছাড়াও হিলারি প্রশাসনে পলিসি অ্যাডভাইজার হিসেবে ঢুকতে পারেন মায়া হ্যারিস ও ড্যান শোয়েরিন।
ক্যারেন ডান Ñ হোয়াইট হাউজ কাউন্সেল
ডেমোক্রেটিক দলের রাজনীতিতে বিতর্ক প্রস্তুতি টিমে ক্যারেন ডানের নামডাক আছে। তিনি ও রন ক্লেইন ২০১২ সালে বারাক ওবামার বিতর্ক প্রস্তুতিতে সাহায্য করেছিলেন। রন ক্লেইন এখন হিলারির চীফ অব স্টাফ হওয়ার দৌড়ে আছেন। হিলারির সিনেট কার্যালয়ে যোগাযোগ পরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে তার শুরু। এরপর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়াশুনা করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি স্টিফেন ব্রেয়েরের ক্লার্ক ছিলেন। এখন তার আইনি পরামর্শ গ্রহণ করে ওরাকল থেকে অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তিনি সবসময়ই হিলারি পরিবারের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। তার ভক্তরা তাকে বলে থাকেন, ‘মিনি হিলারি’। তিনি আবার হুমা আবেদিনেরও ব্যাক্তিগত আইনজীবী।
বিল ক্লিনটন Ñ বিশেষ উপদেষ্টা
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটন আবারও ঢুকতে পারেন হোয়াইট হাউজে। এখনও স্ত্রীর বক্তৃতা সম্পাদনায় সময় দেন তিনি। পাশাপাশি বিতর্ক প্রস্তুতিতেও ভূমিকা থাকে। হিলারি শিবিরের বড় ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবসময়ই উপস্থিত ছিলেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট। এ অবস্থান হোয়াইট হাউজে না পাল্টানোর সম্ভাবনাই বেশি। তবে কোন আনুষ্ঠানিক ভূমিকা তিনি সেখানে পাবেন, তা স্পষ্ট নয়। হিলারি বলেছেন, স্বামীকে তিনি অর্থনীতি পুনর্জ্জীবনের কাজ দেবেন। নিজের প্রেসিডেন্সির সময় মার্কিন অর্থনীতিকে সুদৃঢ় রাখার সুনাম আছে বিলের। অনেকে বলছেন, বিল ক্লিনটন বিদেশেও দায়িত্ব পালন করতে পারেন। যেমন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনায় দূতিয়ালি করা।
রন ক্লেইন Ñ চীফ অব স্টাফ
দুই ভাইস প্রেসিডেন্টের চীফ অব স্টাফ ছিলেন ক্লেইন। জব বাইডেন ও আল গোরের। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনেও একই পদ চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পাননি। এবার প্রাইমারি চলাকালে হিলারির সফল বিতর্ক প্রস্তুতিতে ভূমিকা ছিল তার। পারঙ্গম ব্যক্তি হিসেবে সুনাম আছে। ওয়াশিংটন কীভাবে চলে তার ধারণা আছে বিস্তর।
জন পডেস্টা Ñ বিশেষ উপদেষ্টা
এবার হিলারি শিবিরের চেয়ারম্যান জন পডেস্টা। ওবামার সাবেক এই উপদেষ্টা বিল ক্লিনটনের সময় চীফ অব স্টাফ ছিলেন। ধরেই নেওয়া হয়েছিল, হিলারিরও চীফ অব স্টাফ হবেন তিনি। কিন্তু তিনি নিজেই এই পদে যেতে অনাগ্রহের কথা জানান। বলে দিয়েছেন, যতই বুঝানো হোক, সপ্তাহের সাত দিন আর দিনে ১২ ঘন্টার এ চাকরিতে ফেরার কোন ইচ্ছা তার নেই। ওবামা প্রশাসনের জলবায়ু সংক্রান্ত নীতি ঠিক করেছিলেন তিনি। বলা হচ্ছিল, জ্বালানী মন্ত্রীর পদ পেতে আগ্রহী তিনি। কিন্তু খোদ ক্লিনটন শিবির থেকেই তাকে উচ্চতর পদে আসতে চাপ দেওয়া হবে। এছাড়া মন্ত্রীসভায় তাকে ঢুকাতে গেলে সিনেটের অনুমোদন লাগবে। সেক্ষেত্রে উইকিলিকস সংক্রান্ত শুনানিও শুরু ফেলতে পারে সিনেট!
জ্যাক সুলিভান Ñ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
হিলারির সবচেয়ে আস্থাভাজন উপদেষ্টাদের একজন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারির পাশেই ছিলেন সবসময়। এমনকি ইরান পারমাণবিক চুক্তির ভিত্তি স্থাপনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিলে, কিছুদিনের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগির দায়িত্ব পালন করেন। তবে এখন তিনি হিলারির শীর্ষ পলিসি অ্যাডভাইজারের দায়িত্বে আছেন। বিতর্ক প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছেন হিলারিকে। এমনকি প্রাইমারি চলাকালে বার্নি স্যান্ডার্সের ভূমিকায় মক বিতর্কে অংশ নিয়েছেন হিলারির সঙ্গে। অনেকদিন ধরেই তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হবেন বলে ভাবা হচ্ছিল। যদি হিলারির অধীনে পেয়েই যান এ পদ, তাহলে তিনি হবেন সবচেয়ে কম বয়সে এ পদে অধিষ্ঠিত ব্যাক্তি। চীফ অব স্টাফ হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও তিনি আছেন। কিন্তু আবার এ-ও সত্য, তিনি হিলারির পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সহযোগী। আবেদিন ও মিলসের মতো তাকেও নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়ার সময় প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদই তার সঙ্গে যুতসই।
পাঠকের মতামত: