ফারুক আহমদ, উখিয়া :: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির হাতে কিভাবে ৫ লক্ষ মোবাইলে বাংলাদেশী অপারেটর কোম্পানীর সিম ব্যবহার হল এই নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় বাসিন্দারা কার বায়োমেট্টিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লক্ষ লক্ষ সিম ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে তা তদন্তে কতিয়ে দেখে ঘটনা উদঘাটনের দাবী জানান।
উখিয়া সুজনের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লক্ষ লক্ষ মিয়ানমারের নাগরিক কিভাবে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের সিম ব্যবহার করায় তা এক প্রকার আমাদের জন্য হুমকি। কিভাবে কার বায়োমেট্টিক ব্যবহার করে সিম গুলো সংগ্রহ বা ক্রয় করেছে তা খতিয়ে দেখা জরুরী। নাগরিক আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরিফ আজাদ বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ও উগ্রবাদী উৎশৃংখ যুবক এসব সিম দিয়ে ফেইসবুক, টুইটার, বাইবার এবং রোহিঙ্গা ভাষায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করেছে। শুধু তাই নয় ইউটিভের মাধ্যমে নানা উস্কানিকমূলক খবর প্রচার করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাঁধাগ্রস্থ সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সু-সংগঠিত করতেছে।
এদিকে রোহিঙ্গারা যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা না পায় তা সাত দিনের মধ্যে রোহিঙ্গা নিশ্চিত করতে দেশের সব মোবাইল অপারেটরদেরকে জরুরী নির্দেশ দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। উক্ত সংস্থার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোঃ জাকের হোসেন খাঁন জানান, এই বিষয়ে গত রোববার সব অপারেটরদেরকে চিটি পাঠিয়েছেন। উক্ত চিটিতে বলা হয়েছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইনশৃংখলা রক্ষা ও জনসুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি যাতে মোবাইল সুবিধা না পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশনাসহ সাত দিনের মধ্যে কোন প্রকার সিম বিক্রি ও সিম ব্যবহার বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।
কিন্তু সচেতন নাগরিক সমাজের প্রশ্ন কার বা কাদের বায়োমেট্রিকে রোহিঙ্গারা সিম ব্যবহার করেছে তা কি সঠিক তদন্ত করা হবে?
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশি অপারেটরদের সিম ব্যবহার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিছু বাংলাদেশি নিজেদের বায়োম্যাট্রিক তথ্য ব্যবহার করে নিবন্ধিত সিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিক্রি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ সিম ব্যবহার বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কিন্তু সে নির্দেশনা ভাটা পড়েছিল।
পাঠকের মতামত: