ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

কানাডায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

image_165240_0নিউজ  ডেস্ক  :::

ঢাকা: ৫ম রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)-এ যোগ দিতে কানাডা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ট্রিয়লে পিয়ের এলিয়ট ট্রুডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এয়ার কানাডার ফ্লাইটটি অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান অটোয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান এবং কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে এয়ার কানাডার ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এ সময় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খন্দকার মোহাম্মদ তালহা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এখানে ২২ ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা মন্ট্রিয়লে ফিফথ রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ) এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য ১১ দিনের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জিএফ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন ঘাতক ব্যাধির ব্যাপক বিস্তার রোধে আরো বেশি কার্যক্রম গ্রহণে বিশ্ব স্বাস্থ্যবিষয়ক নেতাদের এক মঞ্চে নিয়ে আসবে। জিএফ হচ্ছে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা কার্যক্রম-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থা।

শেখ হাসিনা আজ রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লিজিং মোমেন্ট ও আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় যোগদান করবেন। তিনি হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিয়লে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন।

শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর ‘রিমোভিং বেরিয়ার্স টু হেলথ থ্রো এমপাওয়ারিং উইমেন অ্যান্ড গার্লস অ্যান্ড রিচিং দ্য মোস্ট মার্জিনালাইজড’ ও ‘এনগেজিং অ্যান্ড মোবিলাইজিং ইয়ুথ টু মিট দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ শীর্ষক দুটি প্যানেল আলোচনায়ও অংশ নেবেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন এবং তাঁর হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়্যার অনার’ পুরস্কার হস্তান্তর করবেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ও অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে (জাস্টিন ট্রুডোর বাবা) মরণোত্তর এই পুরস্কার প্রদান করে।

শেখ হাসিনা ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন ও অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটযোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশে মন্ট্রিয়ল ত্যাগ করবেন।

পাঠকের মতামত: