চকরিয়া (কক্সবাজার )প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধিন,ডুলাহাজারা বনবিটের সংরক্ষিত বনভূমি থেকে শতবর্ষী মাদার ট্রি গর্জন গাছ কেটে ফেলে সংঘবদ্ধ গাছচোর বনখেকোরা। খবর পেয়ে গাছের কিছু টুকরো উদ্ধার করেন,সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ।বাকী কিছু গাছের টুকরো নিয়ে গেল গাছ চোরেরা।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,ডুলাহাজারা বনবিটের অধিন বনভূমি দীর্ঘদিন আগে বেদখলে হয়ে যায়।ফলে দখলদারেরা জায়গাটুকু টুকরো-টুকরো করে বিক্রি করে।এরপর সেখানে গড়ে উঠে বসতবাড়ী।সেই হিসাবে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ডুমখালী-রির্জাভ পাড়ার গরীব,অসহায় মোঃইব্রাহিম (৮০) বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় থাকা গাছটি রাতের আধারে কেটে ফেলেছে গাছচোর সিন্ডিকেট বনখেখোরা।
জানতে চাইলে বৃদ্ধ ইব্রাহিম জানান,গত পরশো রাতে মেয়ের ডেলিভারি বিষয়ে হাসপাতালে ছিল।নবাগত বাচ্চাটি ডেলিভারি পরে মারা যায়।পরে সকালে মৃত্যূ বাচ্চার লাশ নিয়ে বাড়ীতে এসে দেখে ভিটায় থাকা গর্জন গাছটি কেটে ফেলেছে।দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে পড়েছিরাম।তাই কারা গাছটি কেটেছে দেখেনি ও জানি না।
এলাকাবাসী অনেকের কাছে জানতে চাইলাম,কারা গাছটি কেটেছে?কিন্তু দুঃখের বিষয়ে অস্ত্রধারীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলেনা,সবাই নীরব।
এবিষয়ে ডুলাহাজারা বনবিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবনি কুমার বলেন,গত ২৩ ফ্রেরুয়ারী গভীর মাদারট্রি একটি গর্জন গাছটি কেটে ফেলে গাছচোরেরা।খবর পেয়ে সঙ্গে-সঙ্গে অভিযান চালিয়ে গাছের কাটা টুকরোগুলো উদ্ধার করি।পরে রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসি।গাছ কাটার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের নবাগত রেঞ্জকর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন বলেন,বন রক্ষার দায়িত্বভার নিয়ে এসেছি।তাই বন ধ্বংসকারীর বিরুদ্ধে সার্বক্ষণিক যথাযথ ব্যবস্হা নিব।এতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।কারণ গাছচোর,ভূমি দখল সহ যাবতীয় বন আইন লঙ্ঘনকারী হবে আমার বা ডিপার্টমেন্টের শক্রু।
পাঠকের মতামত: