ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনা প্রতিরোধের প্রচারনা বুথ ভেঙ্গে দিলো কউক

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজার শহরে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিমের অস্থায়ী বুথ ভেঙ্গে দিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ নিজে উপস্থিত হয়ে বাঁশ ও বেড়ার তৈরি এই বুথটি ভেঙ্গেদেন।
এই সময় অফিসে উপস্থিত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিমের সদস্যদের লাঞ্চিত করা হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা করোনা সচেতনাতা প্রচার উপ কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটি জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে কক্সবাজার শহরে ১২টি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রচারনা ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিম গঠন করা হয়। এই টিমটি জীবনের ঝুকি নিয়ে কক্সবাজার শহরের করোনা প্রতিরোধে কাজ করে প্রশংসিতও হয়েছে।

ইউএনও সুরাইয়া আক্তার সুইটি আরো জানান, জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে করোনা সচেতননা মূলক প্রচারনা ও কন্ট্রাক ট্রেসিং এর কাজ করতে শহরের ১২টি ওয়ার্ড অস্থায়ী বুথ করা হচ্ছে। শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের মাঝামাঝি লালদিঘির পাড়ে উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে বাঁশ আর ছন দিয়ে এই বুথটি নির্মান করা হয়। আজকে দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ এই অফিসটি ভেঙ্গে দিয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিম এর সমন্বয়ক নজিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে করোনা প্রতিরোধে আমরা সেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করে আসছি। মানবিক এই কাজ করতে গিয়ে আজকে আমাদের প্রচারনার একটি বুথ ভেঙ্গে দিয়ে কয়েকজন সদস্যকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। এই মহামরিতে সেচ্ছায় শ্রম দিয়ে জীবনের ঝুকিয়ে যারা করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে, সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের প্রশাংসা ও সম্মান করছে, আর আজ কক্সবাজারে আমরা লাঞ্চিত হচ্ছি।
করোনা প্রতিরোধ ও প্রচানরা বুথ ভেঙ্গে দেয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ জানিয়েছেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ লালদীঘির সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করে। একই সাথে সড়কের উন্নয়ন কাজ করছে। এই সময় হঠাৎ করে রাতের আধারে লালদীঘির দক্ষিন পাড়ে রাস্তার উপরে একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। এইটি কে করেছে, বা কারা করেছে তা কউক কে অবহিত করা হয়নি। কউকের অনুমতিও নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তাকে জানিয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।

পাঠকের মতামত: