ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের ২৫৬ বিদেশীকে খুঁজছে পুলিশ

দেশে চলমান নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত ১৬ দিনে কক্সবাজারে বিভিন্ন দেশ থেকে ২৫৬ বিদেশী নাগরিক এসেছেন। তাদের আসার তথ্য থাকলেও অবস্থান নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। বিদেশ থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিনে থাকার তথ্য না দেয়ায় খুঁজতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত ১৬ দিনে ২ হাজার ১৮৭ জন বিদেশী কক্সবাজার এসেছেন। এর মধ্যে অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। একই সময়ে কক্সবাজার আসা ২৫৬ জন বিদেশী নাগরিক রয়েছেন, যারা গত ১৬ দিনের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মস্থল কক্সবাজারে এসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও তারা সেটা মানছেন না। এছাড়া পুলিশের কাছে তথ্য গোপন করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার আসার পর ২৫৬ বিদেশীর অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেটা না করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার বেশির ভাগ বিদেশী নাগরিক তাদের অবস্থানের তথ্যও গোপন করছেন। তাই তাদের চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনজিও-আইএনজিওগুলোর কর্মকর্তারা দাম্ভিকতা দেখিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছেন না।এ সময় তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও এসব বিদেশী কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিব্যি ঘুরছেন নিজেদের মতো করে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন ক্যাম্প ও তার আশপাশের বাসিন্দারা কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের মুখপাত্র এইচএম নজরুল ইসলাম বলেন, বিদেশীরা দলবেঁধে এখন চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে তাদের অফিসের গেটে সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করছেন যেখানে সরকার দেশের সব জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে তারা কী করে বাইরে থাকেন তিনি বলেন, মহেশখালী মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ কক্সবাজারে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পে বর্তমানে শতাধিক বিদেশী নির্বিঘ্নে কাজ করছেন। কক্সবাজারসহ দেশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব বিদেশীকে দ্রুত হোম কোয়ারেন্টিনে নিয়ে আসা প্রয়োজন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, যেসব বিদেশী নাগরিক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। যদি কেউ কোয়ারেন্টিন না মেনে থাকেন বা প্রশাসনকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য না দেন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত একজন নারীর শরীরে নভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪১২ জন। লকডাউন করা হয়েছে চারটি বাড়ি।

পাঠকের মতামত: