জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে ::
বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নতি করণ ও সম্প্রসারণের দীর্ঘদিনের জমাট বাঁধা সমস্যা হলো বিমানের হকুম দখলকৃত ভুমিতে অবৈধ ভাবে বসতি গড়ে তোলা ৪৪০৯টি ভুমিহীন পরিবার। এসব ভুমিহীন পরিবারকে পূর্নবাসনের লক্ষে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে নির্মিত হচ্ছে ২শ ৪১ একর খাস জমিতে খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্প-২। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত হবে ৫তলা বিশিষ্ট ২৪৫টি ভবন। এসব ভবনে পূর্নবাসন করা হবে ৪৪০৯ ভুমিহীন পরিবারকে। এ পূর্নবাসন প্রক্রিয়া শেষ হলে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নতি করণ ও সম্প্রসারণে আর কোন বাঁধা থাকবেনা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পর্যটন মন্ত্রানালয় সেনা ও নৌবাহিনী ও কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এক যোগে কাজ করছে।
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নে ২শ ৪১ একর খাস জমিতে যে আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তুলা হচ্ছে তার পশ্চিমে রয়েছে সমুদ্র চ্যানেল ও দক্ষিণে বাঁকখালী নদী। ভুমিহীন পরিবার গুলোকে সমুদ্র ও বন্যার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট ও প্রতিরক্ষামুলক বাঁধ নির্মাণ, রেঞ্চলেটার নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ণ করছে। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর শাখা কর্মকর্তা মো: কাজী নজরুল ইসলাম জানান, এসব প্রকল্পের মধ্যে মহেশখালী চ্যানের পাড়ে ও বাঁকখালী নদীর তীরে স্লোভ প্রটেকশনসহ বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে ৩ দশমিক ৮৭৪ কিলোমিটার। মাটি ভরাট করা হচ্ছে, ২শ ১২ একর জমিতে। স্লইচ গেইট নির্মাণ করা হচ্ছে ২ভেন্ট ২টি, খাল পুন: খনন করা করা হচ্ছে ২টি যাহা ২দশমিক ৪শ কিলোমিটার। কাজটি পরিচালনার দায়িত্বপায় নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডেট পক্ষে সাব ঠিকার হিসেবে কাজ বাস্তবায়ন করছেন,ওয়েষ্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড।
এ প্রতিষ্টানের মহাব্যবস্থাপক বশির আহমদ জানান, তারা ইতিমধ্যে ৪ সাইজের ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫০২টি ব্লক নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করেছে। এর মধ্যে নদী ও সাগর তীরে নির্ধারিত পরিমানের ব্লক ডামপিংক করা হয়েছে। বাকি গুলো জিও টেক্সটাইল বসিয়ে প্লেসিং কাজ চলছে। মাটি ভরাটের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাজের গুণগত মান বজায় রেখে ব্লক তৈরী ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সন্তোষ জনক ভাবে বাস্তবায়ন করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর শুরু করা হয়েছে। গত ২৫ জুন কাজ সম্পূর্ণ করার কথা থাকলেও প্রকল্পে নতুন করে আরো বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে নতুন ভাবে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ বরাদ্দ ফেলে প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে। ##
প্রকাশ:
২০১৮-০৮-২৭ ১০:২৪:২৫
আপডেট:২০১৮-০৮-২৭ ১০:২৪:২৫
- রামুতে বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতিবাজ আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বার্ষিক পুনর্মিলনী ও অভিষেক
- চকরিয়ায় আ. লীগ নেতার গোয়ালঘর থেকে চোরাই গরু উদ্ধার
- চকরিয়ায় পুলিশের জালে দুই ডাকাত, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
- চকরিয়ায় রাতের আধারে গরীব মানুষের ঘরের দরজায় গিয়ে শীতের কম্বল দিয়েছেন ইউএনও
- ঈদগাঁওতে অনলাইন প্রেস ক্লাবের অভিষেক ও প্রীতিভোজ অনুষ্টান
- ঈদগাঁওয়ে দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের ধাক্কা মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- চকরিয়ায় কৃষি জমির টপসয়েল লুট
- চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর ইজারায় অনিযমের অভিযোগ
- ৩১শে ডিসেম্বর মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচিত হবে -বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- চকরিয়ায় ছড়াখালের পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
- ঈদগাঁওয়ে দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের ধাক্কা মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- চকরিয়ায় কৃষি জমির টপসয়েল লুট
- চকরিয়ায় আ. লীগ নেতার গোয়ালঘর থেকে চোরাই গরু উদ্ধার
- চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর ইজারায় অনিযমের অভিযোগ
- চকরিয়ায় রাতের আধারে গরীব মানুষের ঘরের দরজায় গিয়ে শীতের কম্বল দিয়েছেন ইউএনও
- চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বার্ষিক পুনর্মিলনী ও অভিষেক
- ঈদগাঁওতে অনলাইন প্রেস ক্লাবের অভিষেক ও প্রীতিভোজ অনুষ্টান
- চকরিয়ায় পুলিশের জালে দুই ডাকাত, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
- রামুতে বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতিবাজ আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
পাঠকের মতামত: