ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে রিক্সাচালককে কার চাপার ঘটনায় ইউনুচ ভুট্টোর ছেলে গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ শহরের অলিগলিতে গরিব রিক্সা চালক, বাড়ি মহেশখালী। প্রচন্ড গরমে রাস্তার পাশে সাইড করে রিক্স্রার উপর বিশ্রাম নেন রিক্সা চালক আবদুল মালেক। কার গাড়ি চাপা দিয়ে তার দু’টি পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এতেও মূখ খোলার সাহস নেই তার। ইয়াবা কারবারিদের টাকার জোর বেশী। ওই কারমালিকের পিতা আওয়ামী লীগ নেতা। ইউপি চেয়ারম্যানও বটে। রয়েছে ইয়াবা কারবারের অভিযোগ। আছে কোটি কোটি টাকা। পিতার ইয়াবার কালো টাকায় চেয়ারম্যান পুত্রের চোখে রিক্সা চালকের উপর দিয়ে কার চালিয়ে গিয়ে তার পা হারানোর বিষয়টি নজরে আসেনি। তার মন গলেনি মোটেও। শেষ পর্যন্ত পুলিশের খাচায় বন্দি হয়েছে চেয়ারম্যানপুত্র মো: রিয়াদ। তাও মদ্যপ অবস্থায়।

জানা যায়, শহরের তারাবনিয়ার ছড়ায় প্রাইভেট কার চাপায় রিক্সাচালক আব্দুল মালেকের পা হারানোর ঘটনায় মামলা নেন পুলিশ। ওই মামলায় রামু দক্ষিণমিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টোর পুত্র মো: রিয়াদকে মাতাল অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে শহরের এবিসি ঘোনা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে রাস্তার পাশে বিশ্রাম নেয়া ওই রিক্সাচালকে চাপা দিয়েছিল ধৃত রিয়াদ। তার গ্রেফতারের খবরে ইউনুছ ভুট্টো তদ্বির চালায় বিভিন্ন স্থানে। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এক শীর্ষ জনপ্রতিনিধিসহ তার সিন্ডিকেট সদস্যদের নিশিরাতে পাঠানো হয় থানায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ধৃত রিয়াদকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে জানিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো: ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জনকণ্ঠকে বলেন, রিক্স্রাচালকও মানুষ। আইন সকলের জন্য সমান। তাই বড়লোকের সন্তান হলেও তার প্রায়চিত্ত তাকে ভোগ করতেই হবে। এদিকে ইয়াবার টাকায় পুলিশকে কিনতে না পারায় জনগণ ধন্যবাদ জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশকে।

জানা গেছে, মহেশখালীর কালারমারছড়া নোনাছড়ির বাসিন্দা আবদুল মালেক কক্সবাজার শহরে রিক্সা চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন নিমিষে শেষ হয়ে গেছে। তবে অন্তত তার জানটা বাঁচানোর জন্য অনেক অনুরোধ করার পরও প্রাইভেটকার চাপা দেয়া মো: রিয়াদ বা তার পিতা ইউনুচ ভুট্টো এগিয়ে আসেনি। এমনকি দেখতে পর্যন্ত আসেনি। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ইয়াবা কারবার করে ইউনুছ ভুট্টোর চোখে গরীব লোক দেখেও দেখেনা। দানবির মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে যত সামান্য চিকিৎসা করেছেন আহত আবদুল মালেক। এখনও তিনি সুস্থ হয়ে উঠেননি। তবে সুস্থ হলেও বরণ করেছে চিরপঙ্গুত্ব।

পাঠকের মতামত: