কক্সবাজার প্রতিনিধি :: সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল ছিনতাই করার সময় হাতেনাতে মহিলাসহ ৫ ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়।
ছিনতাই কাজে সদস্যদের দু’জন সদস্য মহিলা। তবে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ৩ পুরুষ ছিনতাইকারীকে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে আদালতে সোপর্দ করেছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ। সদর থানার এসআই রাজিব পোদ্দার ৩ জনকে আদালতে সোপর্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সমুদ্রসৈকতে পর্যটক সেবায় নিয়োজিত এক বীচকর্মী জানান, বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে বেড়াতে আসেন রাজশাহীর রেজাউল করিমের পরিবার। ওই সময় তার দুই মেয়ের দুটি ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে কৌশলে দুটি মোবাইল ছিনতাই হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা সুগন্ধা পয়েন্টের প্রবেশমুখে পর্যটন সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অপর দিকে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টস্থ ডাগন মার্কেটের সামনে অপর এক পর্যটকের মোবাইল পকেট থেকে কৌশলে ছিনতাই করার সময় হাতেনাতে একজনকে আটক করে উপস্থিত জনতা। ওই সময় একসাথে থাকা মহিলাসহ পাঁচজনকে ধরে সুগন্ধা পয়েন্টস্থ পর্যটন সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে নিয়ে গিয়ে বীচকর্মীরা তাদের কাছ থেকে সন্ধ্যায় চুরি হওয়া পর্যটক রেজাউল করিমের মেয়ের একটি মোবাইল সেটও উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়ার মোবাইল ওই পর্যটকদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই বীচকর্মী আরো জানান, সৈকতে একটি মোবাইল চোর সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেটে কয়েকজন মহিলা, কয়েকজন শিশু এবং কয়েকজন যুবকও রয়েছে। তারা সর্বমোট ৮-১০ জন হবে। আবার তারা একই পরিবারের সদস্যও। দীর্ঘদিন ধরে তারা পর্যটকদের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল চুরি করেই যাচ্ছে। হাতেনাতে না পাওয়ায় তাদের ধরাও সম্ভব হচ্ছে না।
বুধবার রাতে ওই সিন্ডিকেটের পাঁচজনকে হাতে নাতে আটক হয়েছে। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তারা হলেন, কক্সবাজার কলাতলী ঝড়ঝড়ি এলাকার এনামের ছেলে মুন্না (২২), দীল মোহাম্মদের ছেলে জাবেদ (১৮), নুর আহমদের ছেলে নুরুল হাসান (১৮), এনামের স্ত্রী হামিদা (৫০) ও ছৈয়দ হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা (২৫)।
কক্সবাজার সদর থানার এসআই রাজিব পোদ্দার জানান, মোবাইল চুরির অপরাধে বুধবার রাত ১০টার দিকে ৫ জনকে সুগন্ধা পয়েন্টে উপস্থিত জনতারা ধরে পুলিশকে সোপর্দ করেছে। পুলিশ যাওয়ার আগে বীচকর্মীরা একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে পর্যটককে হস্তান্তর করেছে বলে শুনেছি। এরপর তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি জানান, তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না, জাবেদ ও নুরুল হাসান জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে। তবে দুই মহিলা ছেলে মুন্নাকে সুগন্ধা পয়েন্টে দেখতে আসলে তাদেরও স্থানীয়রা ধরে পেলে বলে জানান। এবং মুন্নার কাছ থেকে পর্যটকের মোবাইল সেটটি উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় মুন্না, জাবেদ ও নুরুল হাসানকে মোবাইল ছিনতাইয়ের অপরাধে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: