কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজারে আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়বে পর্যটক। একই সাথে ইংরেজী নববর্ষকে ঘিরে বাড়বে পর্যটক। দিনের বেলার তীব্র গরম আর নেই। পরিলক্ষিত হচ্ছে শীতের আমেজ। বিপুল সংখ্যক পর্যটককে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়িরা। কক্সবাজারে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, আগামী সপ্তাহে কক্সবাজারে তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে। তবে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা নেই। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহের শুরুতে আরো কমতে পারে।
এদিকে বিজয় দিবসসহ তিন দিনের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটলেও তা কিছুটা কমে এসেছে এখন। এখন হোটেল-মোটেল জোনে পুরোটা চাঙ্গা অবস্থা বিরাজ করছে। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে কোন রুম খালী নেই। ইতোমধ্যে অগ্রিম বুকিং চলছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১৯ আগস্ট থেকে কক্সবাজারের পর্যটন খুলে দেওয়া হলে পরের দিন থেকেই আসতে শুরু করে পর্যটক। তবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ছুটিকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে কক্সবাজারে। এতে কতিপয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অনৈতিক বাণিজ্যের অভিযোগ উঠায় ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ আরো সজাগ হয়েছেন।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, পর্যটক আসায় আমরা খুশী। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হয়েছে। আমরা আগত পর্যটকদের প্রয়োজনীয় সহযোগীতা না করলে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনৈতিক বাণিজ্যের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।
এতে কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক প্রশাসনের সহযোগীতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা শুরুতে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি। তাই পর্যটকদের যথাযথভাবে বরণ করতে আমরা আরো সক্রিয় হব।
সাইমন ব্লু-পার্ল এর তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, শীতের আমেজ শুরু হওয়ার পর থেকে পর্যটকের আগমন বেড়েছে কক্সবাজারে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাড়াও বহিরাগত অনেক ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী কক্সবাজারে এসেছেন। সুগন্ধা পয়েন্টের রাস্তায় ভ্রাম্যমান অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন।
এক কাপ মালাই ‘চা’ এক দোকানের ১০ টাকা, আরেক দোকানে ২৫ টাকা। যে যেভাবে পারে সেভাবেই হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এছাড়া অধিকাংশ রুমই এখন অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এদিকে পর্যটক বাড়ার সাথে সাথে সবকিছুর চাহিদা বেড়েছে পর্যটন এলাকায়। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী।
মাংস ব্যবসায়ি আবদুর রহিম জানিয়েছেন, মাংসের দাম বাড়েনি। তারপরও হোটেল রেস্টুরেন্টে দাম বাড়লে তা গ্রহনযোগ্য নয়। পর্যটক আসলে আমাদের ব্যবসা থাকবে।
এদিকে পর্যটক সমাগমের কারণে সৈকতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক সাকের আহমদ জানান- ‘ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার উপরও নজরদারি করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে যারা পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করছেন তাদের বিষয়টি এবার তীক্ষভাবে দেখা হবে।
পাঠকের মতামত: