সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বর্ণিল আয়োজনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উদযাপিত হলো ‘বিএমএ’ দিবস। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকাল থেকে রাত অবদি পালিত হয়েছে নানা অনুষ্ঠানমালা। অনুষ্ঠানমালায় ছিল শোভাযাত্রা, খেলাধুলা, পিঠা উৎসব, ফানুস উৎসব, র্যাফেল ড্র, ছোটদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে উৎসবের আমেজে অংশ নেয় চার শতাধিক চিকিৎসক ও তাদের পরিবার। স্বনামধন্য চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সরব পদচারণায় মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানস্থল। সকালে সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ঘোড়ার গাড়ি, রঙ-বেরঙের ফেস্টুন, ব্যানার ও প্লে-কার্ড ও রঙিন সাজে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে বিয়াম ফাউন্ডেশনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ ছিল চিকিৎসক দম্পতি কক্সবাজার বিএমএ এর সভাপতি ডাঃ পু চ নু ও ডাঃ মায়েঁনুর রাখাইন রাজা-রাণীর সাজ। সেখানে জাতীয় সংগীত, শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এসময় ভাষা শহীদদের স্মরণে পালন করা হয় এক মিনিট নিরবতা। পরে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ পু চ নু’র সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহবুবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডাঃ জামাল উদ্দিন আহমেদ, বিএমএ’র সহ-সভাপতি ডাঃ রফিকুল হাসান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ সুভাস চন্দ্র সাহা, সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ রেজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুস সালাম, বিএমএ এর কোষাধ্যক্ষ ডাঃ আবদুর নুর বুলবুল, প্রচার ও জণসংযোগ সম্পাদক ডাঃ নোবেল কুমার বড়–য়া ও সদস্য ডাঃ জাহিদুল মোস্তফা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চিকিৎসকদের স্বার্থ ও অধিকার আদায়ে কার করে যাচ্ছে বিএমএ। কক্সবাজারেও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে চিকিৎসকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রয়াত চিকিৎসকদের অম্লাণ করে রাখতে সদর হাসপাতালের বাগান গোলাম মোস্তফা চত্ত্বর, বিএন পাল কনফারেন্স হল ও আ.ম.ম রফিক উদ্দিন রুবেল গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে চিকিৎসকদের সম্মাননা ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। এছাড়া রোহিঙ্গা সেবায় অবদান রাখার জন্য সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, টেকনাফ-উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, আরআরআরসি, আইওএম, আইসিআরসি, এসভিসি ও টিকাকে সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডাঃ রফিক-উস-ছালেহীন ও ডাঃ আরিফ হোসেন। ‘বিএমএ’ দিবস উদযাপনের সমগ্র অনুষ্ঠানে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন ডাঃ খাইরুন্নেছা মুন্নী, ডাঃ মায়েঁনু, ডাঃ টুটুল তালুকদার, ডাঃ বিধান পাল, ডাঃ রঞ্জন বড়–য়া রাজন, ডাঃ এস,এম সরওয়ার, ডাঃ সৈয়দ মারুফ উর রহমান, ডাঃ গোলাম মোস্তফা নাদিম, ডাঃ রূপম পাল, ডাঃ সুবন দত্ত ও ডাঃ জামশেদুর রহমান।
পাঠকের মতামত: