কক্সবাজারের টেকনাফের এক ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় কারাগারে থাকা ৭ ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে পুলিশ প্রশাসন। গত ১ এপ্রিল এ মামলা দায়ের করা হয়। সাতজনের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে দায়ের করা মামলাগুলোর নম্বর যথাক্রমে ০৫/১৮, ০৬/১৮, ০৭/১৮, ০৮/১৮, ০৯/১৮, ১০/১৮ ও ১১/১৮।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিভাগীয় মামলার মতো অপরাধ করলে অবশ্যই মামলা হবে। পুলিশ বলে অপরাধ করলে কেউ রেহাই পাবে না।
জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ১৭ লাখ টাকাসহ সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে আটক হন কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাত সদস্য। ঘটনার আগের দিন দুপুরে টেকনাফের মধ্যম জালিয়া পাড়ার ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে কক্সবাজার শহর থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে টাকা দাবি করা হয়। ঘটনার পর নানা প্রক্রিয়ায় আগে টাকা দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। টাকা নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে সাতজন পুলিশ সদস্য ভোরে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ শাপলাপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে মাইক্রোবাসটি আটক করে মুক্তিপণের ওই ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয় এবং আটক করা হয় সাত পুলিশ সদস্যকে।
এ ব্যাপারে আবদুল গফুর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটক সাতজন বর্তমানে জেলা হাজতে রয়েছেন। আটক পুলিশ সদস্যরা হলেন- ডিবি পুলিশের এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই আবুল কালাম আজাদ, এস আই ফিরোজ, এএসআই মোস্তফা, এএসআই আলাউদ্দিন, সিপাহী আলামিন ও সিপাহী মোস্তফা আজম।
এ সংক্রান্ত মামলাটির তদন্ত করছেন পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটি মামলার সার্বিক তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে। আদালতে চার্জশিট দ্রুত সময়ের মধ্যে দাখিল হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ প্রশাসন ডিবির এ সাত সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করলো।
এদিকে এই বিভাগীয় মামলাটির তদন্তের জন্য ঘটনায়রশিকার ব্যবসায়ী আবদুল গফুরসহ সাক্ষীদের জেলা কারাগারের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিভাগীয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ নোটিশ প্রদান করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন ব্যবসায়ী আবদুল গফুর। সুত্র : বাংলাট্রিবিউন
পাঠকের মতামত: