মহসিন শেখ :: কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সাম্প্রতিক সময়ে চালু হয়েছে ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ নামের পর্যটকবাহী জাহাজ। কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়ায় বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট থেকে এটি প্রতিদিন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করছে।
গোয়েন্দা নজরদারি যে কারণে জরুরি :
স্বাভাবিকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আসা-যাওয়া করে বিভিন্ন জাহাজ। কক্সবাজার থেকে সড়ক পথে টেকনাফ জেটি ঘাটে ওসব জাহাজে পৌঁছাতে গেলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক চেকপোস্টে তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীকে। যার ফলে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের আড়ালে ইয়াবা সহ যেনো মাদকদ্রব্য এবং অগ্নেআস্ত্র বহণ করা খুবই দুরূহ বিষয়।
তবে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসটি ছাড়া হয় শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া নামক স্থান থেকে। যেটি কোনো ধরনের চেকপোস্ট অথবা তল্লাশিবিহীন ইয়াবা কারবারি সহ যেকোনো অপরাধীদের জন্য নিরাপদ ট্রানজিট। একইভাবে কক্সবাজার শহর থেকে সাগরপথে সরাসরি যাতায়াত করবে ইয়াবার গোডাউন হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্র মিয়ানমার সীমান্তের অতি সন্নিকটে অবস্থিত সেন্টমার্টিন দ্বীপে। যেখান থেকে সহজেই কোনো প্রকার তল্লাশির মুখোমুখি না হয়েই ইয়াবা বহন করা খুবই সহজ কাজ।
অনেকের ধারণা ইতোমধ্যে ইয়াবা কারবারি সহ অপরাধীরা পর্যটক বেশে সেন্টমার্টিন হয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সরবরাহ করতে নিরাপদ সড়কে চলাচলকারী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামক জাহাজটি বেছে নিয়েছে।
তাই জাহাজটি কেন্দ্রীক গোয়েন্দা নজরদারি জরুরি। একইভাবে জাহাজ কর্তৃপক্ষেরও বিষয়টি নিয়ে তৎপর হওয়া উচিত বলে মনে করছি।
পাঠকের মতামত: